খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২৪৩
  অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
  রাজধানীর মিরপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নারীসহ ২ পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ

ভাষাতত্ত্ববিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও কিছু কথা

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা

বিগত শতাব্দীর বিশের দশকে ব্রিটিশ ভারতে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন ও অহিংস আন্দোলনের উত্তাল প্রবাহ। সে সময় ভারতের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু না হিন্দী হবে এ নিয়ে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে বিস্তর মতভেদ ছিল। সে সময় শান্তিনিকেতনের অভ্যন্তরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বাংলাকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করার জন্য সেখানকার কর্মকর্তাদের একটি আন্দোলন শুরু হয়। এনিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি সভা করেন। আর সেই সভায় জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন ভাষাতত্ত্ববিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

সেই বক্তব্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নানান তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন , কেন বাংলা হবে ভারতের রাষ্ট্র ভাষা। তাঁর এই বক্তব্য পরবর্তীকালে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িযেছে। রবীন্দ্রনাথের অসুস্থতা, শহীদুল্লাহর কলকাতা ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গমন, দেশভাগ শান্তিনিকেতনের বাংলা ভাষা আন্দোলন গতি না পেলেও অবিভক্ত ভারতের বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্বপ্নদ্রষ্টা কিন্তু বলা যায় এই ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে।

তিনিই সেই ভাষাতত্ত্ববিদ যিনি অকপটে বলতে পারেন, ” আমরা যতখানি হিন্দু বা মুসলিম তার চেয়ে আরো সত্য আমরা বাঙালি”। বাংলা ভাষা, তার সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি দরদ না থাকলে একথা কখনই বলা যায় না। অন্যান্য ভাষাতত্ত্ববিদরা যখন মাগধি- প্রাকৃতকে যখন বাংলা ভাষার উৎস বলতে চান, তখন শহীদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ সহকারে গবেষণামূলক নির্ভীক বক্তব্য ছিল- বাংলার জন্ম বাংলার মাটিতেই। বাংলা ভাষার উৎস গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে। এই সেই শহীদুল্লাহ, যিনি মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আবিস্কার করা চর্যাপদকে তিনিই সাজিয়েছিলেন। বাংলা কাব্যজগতের অন্যতম কবি জীবনানন্দ দাশ ছিলেন তাঁর প্রিয় ছাত্র। প্যারিস থেকে গবেষণা করে ফেরার পর তিনিই বলেছিলেন, চর্যাপদ বাংলাভাষায় রচিত। বাংলা উপভাষা তিনিই প্রথম করেন। তিনিই পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষা আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দু:খের বিষয় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আজ এক বিস্মৃত নাম।

জন্মসূত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়া থানার পিয়ারা গ্রামের ভূমিপুত্র। মামার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি দুটোই ছিল ঐ জেলারই দেগঙ্গা থানার ভাসিলিয়া গ্রাম। ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মারা যান ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুছা খান মসজিদ প্রাঙ্গণে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। আসুন তাঁর সম্পর্কে আমরা একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।

পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখার রেললাইনে হাড়োয়া স্টেশনে নেমে দক্ষিণ দিকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পেয়ারা গ্রাম। এই গ্রামেই বেড়ে ওঠা শহীদুল্লাহ’র। এই গ্রামের নামের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। হাড়োয়ার পীর গোরাচাঁদের নাম একজন সুফিসাধক হিসাবে বহুদূর বিস্তৃত। পীর গোরাচাঁদের আসল নাম সৈয়দ আব্বাস আলী (রহ.)। ত্রয়োদশ শতাব্দিতে সিলেটের পীর হযরত শাহজালাল (রহ.) র সঙ্গে যে ৩৬০ জন দরবেশ বাংলার মাটিতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন তাঁদেরই অন্যতম পীর গোরাচাঁদ। আর পীর গোরাচাঁদের অন্যতম ‘খাদেম’ বা ভক্ত হলেন সেখ দারা মালিকের বংশধর হলেন ভাষাতত্ত্ববিদ ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। পীর গোরাচাঁদের অন্যতম আরেক খাদেম বা ভক্ত হলেন পেয়ার বক্স। সেই পেয়ার বক্স থেকে পেয়ারা গ্রামের নাম।

উল্লেখ্য, অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্যতম পরগণা হল বালান্দা। এই পরগণার অন্তর্ভূক্ত এই পেয়ারা গ্রাম। এই পরগণা বলা চলে স্বর্ণগর্ভা। পীর গোরাচাঁদের অনাড়ম্বর জীবনযাপন, অলৌকি মাহাত্ম্য, নির্লোভ গুণ অমুসলিম জনমানসে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। কথিত আছে দেগঙ্গার রাজা চন্দ্রকেতু গড়ের সঙ্গে পীর গোরাচাঁদের যুদ্ধ হয়। পীরের অলৌকিক মাহাত্মের কাছে চন্দ্রকেতু হেরে যান। দেখতে সুন্দর ছিলেন বলেই অমুসলিম ভক্তরা তাকে বলতেন গোরাচাঁদ।

দশ বছর বয়সে হাওড়ার সালকিয়া মাইনর স্কুলে ভর্তি হন। শহীদুল্লাহর পিতার নাম মফিজুদ্দিন আহমেদ আর মায়ের নাম হরুন্নেসা। পিতা চাকুরিসূত্রে হাওডার শালকিয়াতে থাকতেন। ১৮৯৯সালে সালকিয়া মাইনর স্কুল থেকে মিডল্ স্কুল পাশ করেন। ১৯০০ সালের জানুয়ারি মাসে ভর্তি হন হাওড়া জেলা স্কুলে, সপ্তম শ্রেণীতে। বার্ষিক পরীক্ষায় রৌপ পদক পান। ১৯০৪ সালে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম হন। হিন্দু মায়েরা হরুন্নেসার কাছে বলেন, ‘মা আপনি রত্নগর্ভা। আশীর্বাদ করুন আমাদের ছেলেরা আপনার ছেলের মতো হয়।’ স্কুল জীবনেই অন্যান্য ভাষা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। সালকিয়ায় থাকাকালিন মাড়োয়ারি ও ওড়িয়াদের সংস্পর্শে হিন্দী ও ওড়িয়া ভাষা শিখে ফেলেন। পারিবারিক সূত্রে শিখে ফেলেছিলেন আরবি, ফারসি ও বাংলা। স্কুলজীবনে সংস্কৃত ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। আবার ছাত্রজীবনেই চর্চা করতেন ল্যাটিন, গ্রীক ও তামিল ভাষা। গিরিশচন্দ্র সেনের বাংলী কুরআন ও তাপসমালা এবং কৃষ্ণ কুমার মিত্রর ‘মুহাম্মাদ চরিত্র’ তিনি বাল্যকালেই পড়ে ফেলেন।

১৯০৬ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এফ এ পাশ করেন। হুগলি কলেজে (বর্তমান মহসীন কলেজ) সংস্কৃত নিয়ে বি এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন। এর পর যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতার পদ গ্রহণ করেন। কিন্তু পুরোপুরি ছাত্রজীবন থেকে সরে যাননি। যশোর জেলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। জীবনানন্দ একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে শহীদুল্লাহকে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত শ্রদ্ধা করে গেছেন। যশোরে এক বছর শিক্ষকতার পর আবার শহীদুল্লাহ ফিরে যান কলকাতায়। সিটি কলেজে ভর্তি হন বি এ দ্বিতীয় বর্ষে সংস্কৃত অনার্স নিয়ে।

১৯১০ সালের ১০ অক্টোবর দেগঙ্গা থানার ভাসিলিয়া গ্রামের মুন্সি মুহম্মদ মুস্তাকিমের কন্যা মোসাম্মৎ মরগুবা খাতুনের সঙ্গে শহীদুল্লাহর বিয়ে হয় সিটি কলেজে পড়াকালীন। আবার ঐ কলেজ থেকেই সংস্কৃত নিয়ে বি এ আনার্স পাশ করেন। এক্ষত্রে ভারতের তিনি এই কৃতিত্বের অধিকারী একজন মুসলিম ছাত্র হিসেবে। কিন্তু দু:খের হলেও সত্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বাধা পেলেন হিন্দু পণ্ডিতদের কাছ থেকে। প্রবল জনচাপে উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের চেষ্টায় খোলা হল হল তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব। ১৯১২ সালে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করলেন। ১৯১৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হেলথ্ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় শহীদুল্লাহর জার্মানি যাওয়া হয়নি। পরে তিনি ১৯২৬ সালে তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগান। ১৯১৩-২৬ সালের মধ্যে তিনি আইন পাশ করলেন। চট্টগামের সীতাকুণ্ড হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন আবার স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আহ্বানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগ দেন।

তার আগে ৪ বছর বসিরহাট কোর্টে ওকালতি করেন। ১৯১৯-২১ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎকুমার লাহিড়ীর গবেষণা সহায়ক হিসেবে চাকুরি করেন। এই সময় কালে তিনি আঙুর, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা, বঙ্গভূমি ও পিস(ইংরেজি) নামে চারটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। বাঙালি জাতিসত্বা নিয়ে সারাজীবন গবেষণা করেছেন।

ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হতে পারতেন কলকাতা হাইকোর্ট বা বসিরহাট মহকুমা আদালতের খ্যাতনামা আইনজীবী। কিন্তু না, তিনি তা হননি। ১৯২১ সালে স্থাপিত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আচার্য হটন সাহেব ও উপাচার্য মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আমন্ত্রণে শহীদুল্লাহ যোগ দিলেন সেখানে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি চলে এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যোগ দিলেন ভাষা বিভাগে। সংস্কৃত, বাংলা ও আইন বিভাগে তিনি ৩০ বছর অধ্যাপনা করেন। ভাষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, গবেষক সুশীল কুমার দে তাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। পঞ্চাশের দশকে তৈরি হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ঐ সময় তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের প্রধান করা হয়। ১৯৫৬ সালে চীন সফর করেন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরেও তিনি বগুড়া স্যার আজিজুল হক কলেজে বেশ কিছুদিন অধ্যাপনা করেন।

পাকিস্তান আমলেই জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান, করাচি উর্দু উন্নয়ন বোর্ডে যোগদান তাঁর জীবনের স্মরণীয় ঘটনা। দেশ ভাগ হল। পূর্ব বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তান নাম নিয়ে থাকতে হয়েছিল। ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী এই নাম কোনোদিনই মেনে নিতে পারেননি শহীদুল্লাহ। বাংলাভাষার স্বাধিকার, পূর্ব পাকিস্তানের নাম পূর্ব বাংলা এবং বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে ১৯৪৮ সালেই তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা হিসাবে গঠন করলেন রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও তামুদ্দিন মজলিস। এই দুই সংগঠন ভাষা আন্দোলনকে তীব্র করে।

ভাষা নিয়ে গবেষণা, অধ্যাপনা, পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে ভাষাতত্ত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২০-২৫টি গ্রন্থ লেখা খুব সহজ বিষয় নয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল: বাংলা ব্যাকরণ, শেষ নবীর সন্ধানে, ইকবাল, ওমর খৈয়াম, কবিগুরু, সিদ্ধকানুপার গীত ও দোহা, বাংলা সাহিত্যের কথা (১ম ও ২য়), বৌদ্ধ মর্মবাদীর গান, ইত্যাদি। এছাড়া কিছু অনুবাদ গ্রন্থও আছে। আছে কিছু সম্পাদিত ও সংকলিত গ্রন্থও। ২২টি ভাষার সুপণ্ডিত উপমহাদেশে আর ক’জনই আছেন? আজ কিন্তু তিনি অনেকটাই বিস্মৃত। ৯ ছেলেমেয়ের জনক তিনি। এরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক একটি জ্যোতিষ্ক। এরা হলেন মাহযুযা হক মঞ্জু, মাসরুরা খাতুন গোলে, আবুল কালাম মোস্তাফা ওলি, আবুল করিম মাহমুদ জকিউল্লাহ জকি, আবুল জামাল মহম্মদ তকিউল্লা বেলাত, আবুল বয়ান মুজতবা নকীউল্লাহ প্যারিস, আবুল ফজল মুতায়াকিল রাজিউল্লাহ লালু, আবুল খায়ের মর্তুজা বসিরুল্লাহ বকুল। সকলেই বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন। তবে শহীদুল্লাহর ভাই খলিলুল্লাহর নাতি ডাক্তার হেদায়েতুল্লাহ কলকাতার পার্কসার্কাস এলাকায় থাকেন, পেশায় চিকিৎসক হলেও নেশায় একজন গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক।

অমর ভাষাতত্ত্ববিদ জ্ঞানতাপস বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক বিরল প্রতিভা। তিনি এশিয়ার এক গৌরবও।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!