শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতি বছর অক্টোবরে ভারতে রপ্তানি হয় উপহারের ইলিশ। মৌসুম শুরুর পর পর এবারের আগষ্টে সৌদিতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেশি দেশের চেয়ে সৌদিতে এ পণ্যের মূল্য বেশি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট দপ্তর। গেল পূজায় স্থানীয় রপ্তানিকারকরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি।
গেল অক্টোবরে ভারতে রপ্তানির জন্য ৪৮ টি প্রতিষ্ঠান ৫০ মেট্রিক টন করে এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি পায়। এ অঞ্চলের রপ্তানিকারক উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-যশোরের সততা ফিস, লাকী এন্টারপ্রাইজ, রহমান ইমপেক্য, আঁচল ইন্টার প্রাইজ, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, নড়াইলের লাকী ইন্টারপ্রাইজ, খুলনার বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, রূপালী সি ফুড, সাতক্ষীরা সুমন টেডার্স।
প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির সুযোগ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো এ সময়ের মধ্যে ৯৪ মেট্রিক টন মাস রপ্তানি করে। বেশির ভাগ মাছ রপ্তানি হয় বেনাপোল স্থল বন্দর।
গেল অর্থ বছরে ৪নং ঘাটস্থ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনে ১৯৪ মেট্রিক টন ইলিশ বিকিকিনি হয়। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ১০০ মেট্রিক টন বিক্রি হয়।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আগস্ট থেকে সৌদি ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে আশানুরূপ দাম পাওয়া যাবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশের বাজারে এর চাহিদা থাকে। দক্ষিণ অঞ্চলের বড় শহর খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল ও যশোরে এ দিনে ৬০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের বালেশ্বর, কীর্তনখোলা, পশুর ও বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ আহরণ শুরু হবে আগামী জুলাই থেকে। ইতিমধ্যে জেলেরা দাদন নেয়া শুরু করেছে। কুয়াকাটা মোকাম থেকেও মৌসুমের শুরুতে মাছ আসা শুরু হবে।
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন খুলনার ব্যবস্থাপক মোঃ মাসুদ বলেছেন, এর উদ্যোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তা হবে সাগর ও এ অঞ্চলের নদ নদীতে ইলিশ আহরণ সাপেক্ষে। ভারতের চেয়ে সৌদির মুদ্রামানের পার্থক্য রয়েছে। সৌদিতে রপ্তানি করে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে। জুলাই মৌসুমের শুরুতে ইলিশ আহরণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগ শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম