ভারত সরকারের ‘জনবিরোধী নীতির’ বিরুদ্ধে ষোলটি বাম-অবাম কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে শিল্পাঞ্চলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এমনকি বৃহস্পতিবার ডাকা এই বনধে কৃষক-ক্ষেতমজুররা কৃষি কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখে। এদিন দিল্লি, গুরুগাঁও, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, মুম্বই, আহমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, কলকাতা ও সংলগ্ন শিল্পাঞ্চলগুলি, বাঙ্গালোর, কানপুর, লখনউ, ফরিদাবাদ, গুয়াহাটি আগরতলা, ভূপাল, প্রভৃতি রাজধানী শহর ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ সফল হয়েছে। বনধের প্রভাব পড়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রেও। দু-চারটে সরকারি বাস চালু হলেও বেসরকারী বাস রাস্তায় নামেনি।
বনধ সফল হওয়ায় ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সিপিআইএম- এর সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। দশটি বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন ও ছয়টি অবামপন্হী সংগঠন কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বনাশা কৃষি বিল, বেসরকারিকরণ সহ জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বনধ ডাকে। আর এই বনধকে নৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছে কংগ্রেস ও বাম দলগুলি। বিহার ও ঝাড়ন্ডের কয়লা শিল্পাঞ্চল, জামসেদপুর লৌহ শিল্পাঞ্চল, গুরুগাঁও শিল্পাঞ্চল, আসামের চা শিল্পাঞ্চল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
ভারতের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ১৬ টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বৃহস্পতিবার এই প্রভাব পড়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, দার্জিলিঙ-জলপাইগুড়ির চা- বাগান, কলকাতা সংলগ্ন বারাকপুর শিল্পাঞ্চল, হুগলি শিল্পাঞ্চল, হাওড়া শিল্পাঞ্চল ও বজবজ-বাটানগর শিল্পাঞ্চল । বনধের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সহ রাজ্যের ৩৫১ টি থানা, ৬০ টি মহকুমা শহর ও ২৩ টি জেলা সদর শহরে সুবিশাল মিছিল হয়েছে। তবে কলকাতার মৌলালি মোড়, যাদবপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং ও উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতে পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বনধ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। এই বনধকে সিপিআইএম সহ ১৭ টি বাম দল ও কংগ্রেস সমর্থন দিয়েছে। সরকারি বাস কলকাতায় ২-৪ টি নামলেও বেসরকারি বাস নামেনি।
খুলনা গেজেট/কেএম