ভারতের অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মনিপাল হাসপাতালের সাথে একীভুত হলো আমরি হাসপাতাল। এখন থেকে আমরি হাসপাতালটিও পরিচিত হবে মনিপাল হাসপাতাল হিসেবে। দু’টি হাসপাতালই মনিপাল হাসপাতাল নাম নিয়ে চলবে ভারতের ৩৭টি শাখায়। আর ভারতের মনিপাল হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে নেওয়া হয়েছে নানামুখি পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অংশীজনদের নিয়ে খুলনা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। তবে সভায় অংশীজনদের পক্ষ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশী রোগী ও ভিজিটরদের ভিসা জটিলতা দূর করার আহবান জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ভিসা পেতে দেরী হওয়ায় অনেক সময় মূমূর্ষ রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে। সুতরাং সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে মেডিকেল ভিসা ইস্যু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার আহবান জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন, মনিপাল হাসপাতালের চীফ ম্যানেজার ডা: রাম গোপাল মন্ডল। অতিথি বক্তা ছিলেন, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।
ডা: সাবরিনা রহমান স্নিগ্ধার সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মনিপাল হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক নির্ঝর ঘোষ, বাংলাদেশী কান্ট্রি ডিরেক্টর খালিদ হাসান ও খুলনা তথ্যকেন্দ্রের এসোসিয়েট মাসুম জাফর।
এসময় অংশীজনদের মধ্য থেকে বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা ক্লাব সদস্য আহসান হাবীব, এসএম রবিউল আলম, সৈয়দ তাবিব প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ভারতের কোলকাতা এবং ভুবনেশ্বরের আমরি হাসপাতালের ইউনিটগুলো ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মনিপাল হাসপাতালের সাথে একীভুত হয়। গত ১৫ থেকে যার যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্যদিয়ে পূর্ব ভারতের স্বাস্থ্যসেবায় এক আমুল পরিবর্তন আনবে বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করেন।
সভায় মনিপাল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে এদেশের স্বাস্থ্যসেবায় তারা ভূমিকা রাখতে চান। এজন্য যেসব প্রক্রিয়াগত ও আইনী জটিলতা রয়েছে সেগুলো দূর করে স্বাস্থ্যসেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে তারা বদ্ধপরিকর।
অংশীজনদের পক্ষ থেকে ভিসা জটিলতার কথা তুলে ধরা হলে সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ বলেন, ভারতের নির্বাচনের পর অর্থাৎ আগামী তিন মাসের মধ্যে এ জটিলতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম