ভারতের কৃষি – ক্ষেতমজুর বিক্ষোভ আন্দোলনকে সাঁই দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদী সরকার কার্যত চাপে পড়ে গেল। এই আন্দোলন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশদিনে পড়ল।
এদিন সুপ্রিম কোটের প্রধান বিচারপতি এস বরোদের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সম্পত্তি নষ্ট বা প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি- শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন চলতে পারে। কৃষক- ক্ষেতমজুর আন্দোলনে সেই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এই কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়। এর ফলে আন্দোলনেকারীরারা আরো উৎসাহিত।
এর আগে বিজেপি সরকার জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল না করলে সারা ভারত অচল করে দেওয়া হবে বলে কলকাতায় হুঁশিয়ারি দেন সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় মোর্চার অন্যতম আহ্বায়ক প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লা।
কলকাতা সফরে এসে তিনি কৃষক – ক্ষেতমজুরদের এক সভায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দেন যা অনেকখানি তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কলকাতা সফরে এসে হান্নান মোল্লা এক বিশাল কৃষক- ক্ষেতমজুরদর মিছিল সংগঠিত করেন।
তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ আদানি-আম্বানিদের তৈরি করা সমস্ত দ্রব্য সামগ্রী ইতিমধ্যেই বর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষক- ক্ষেতমজুরদের। এদিন তিনি সরকারকে কার্যত সতর্ক করে বলেছেন, এ যাবত পর্যন্ত বেশ কয়েকজন কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলন করতে গিয়ে মারা গেছেন। তারপরও আন্দোলনকে দুর্বল করা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গসহ এবার পূর্ব ভারতের কৃষকরা দিল্লি অভিযান করবে। এই আন্দোলন কৃষক-ক্ষেতমজুরদের আরেকটি মুক্তির সংগ্রাম।
এদিন তিনি কৃষি আইন প্রসঙ্গে বলেন, এই আইন আদানি-আম্বানিসহ দেশি-বিদেশি কর্পোরেট লবির স্বার্থ রক্ষা করবে। কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাবে না। ক্ষেতমজুররা তাদের কাজ হারাবে। তাই এই ধরনের কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন জারি থাকবে।
খুলনা গেজেট/কেএম/এনএম