খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে সোমবার দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ইন্দার জিৎ সাগর। সাক্ষাতকালে সহকারী হাইকমিশনার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাঁর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। উপাচার্যও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মনোগ্রাম খচিত একটি ক্রেস্ট উপহার দেন।
সহকারী হাইকমিশনার বাংলাদেশের সাথে ভারতের চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করেন। দু’দেশের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে যাতে করে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। মোংলা বন্দরের সাথে রেলসংযোগ স্থাপনের ফলে এই বন্দরটি আঞ্চলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তির কথাও তিনি ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন দেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ/সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছে। ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্প্রতি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষক-ছাত্র এক্সচেঞ্জ ছাড়াও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে দু’দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ভারতে চিকিৎসা, পর্যটন, কনফারেন্স, সেমিনার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গমনে ভিসা প্রাপ্তির সহজীকরণের বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। এ ব্যাপারে সহকারী হাইকমিশনার তাঁর পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তার আশ্বাস দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ও উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এসময় উপস্থিত ছিলেন।