সারা ভারতে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। আর তার জের স্বরূপ মঙ্গলবার কৃষক সমন্বয় মোর্চা বনধ ডেকেছে সমগ্র ভারতে। পাঁচশ’ কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগঠন এই বনধে সামিল হবে। ইতিমধ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলি এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ।
সারা ভারত জাতীয় কংগ্রেস, সিপি আই , সিপিআই এম, সিপি আই এম এল (লিবারেশন), আর এসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, জনতা দল (সেকুলার), লালুপ্রসাদের আর জেডি, আকালি দল, তৃণমূল কংগ্রেস, সমস্ত সংখ্যালঘু ও দলিত সংগঠন এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে । এই কৃষক-ক্ষেতমজুর আন্দোলনের প্রধান তিন সংগঠক ও আহ্বায়ক হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব ও অতুল আনজান সাংবাদিকদের বলেন, এই বনধে বিভিন্ন সংগঠন বাদ দিলেও ভারতের আশি শতাংশ মানুষ সামিল হবে। এটা স্বাধীনতার পর শুধু সবচেয়ে বড় আন্দোলন নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের নজর কেড়েছে। সমস্ত স্তরের শ্রমজীবী মানুষ এই বনধকে সমর্থন দিচ্ছে । রাষ্ট্র সঙ্ঘ এই আন্দোলনকে সমীহ করছে। অথচ বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদী সরকার সর্বনাশা কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ২৬ নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলি সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘট পালন করে। ঐদিন কৃষক সংগঠনগুলি গ্রাম-ভারত বনধ পালন করে। মঙ্গলবারের বনধ সমগ্র ভারতকে অচল করে দেবে। কৃষক- ক্ষেতমজুর সমাজ বুঝিয়ে দেবেন তাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তারাও রাস্তায় নামতে জানে।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “এই বনধকে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি যদি রুখতে যায় তাহলে চরম মূল্য পেতে হবে। দিল্লির চারটি রাস্তা বন্ধ করার পরও সেখানে বিশ লাখ কৃষককে আটকানো যায়নি। দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ । মঙ্গলবার গোটা ভারত অচল হবে। তারপরও মোদী সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে লাগাতার রাস্তায় থাকবেন কৃষক-ক্ষেতমজুররা।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন