ভাতের পাতিলে প্রস্রাব করায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ১৮ মাসের শিশু আরাফাতকে হত্যা করা হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর সোমবার দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন।
দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কোহিনুর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কোহিনুর জানায়, ওইদিন কোহিনুর ভাত রান্না করে রান্নাঘরে পাতিল রেখে দেন। এ সময় পাশের বাড়ির শিশু আরাফাত ভাতের পাতিলে প্রস্রাব করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোহিনুর শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এক ধাক্কাতেই শিশুটি ছিটকে নিচে পড়ে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যায়। পরে তড়িঘড়ি করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর বেগম পুলিশকে এমন তথ্য জানালেও শিশু আরাফাত হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না আরও জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসবে বলে জানান ওসি (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম