সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু জয়ই না, বেশ দাপট ও আধিপত্য বিস্তার করে পুরো ৯০ মিনিট খেলল লীগ চ্যাম্পিয়নরা।
কাসেমিরোকে ছাড়া ৪-১ গোলে বড় জয় পেলেও মাঝমাঠে ঠিকই কাসেমিরোর অভাব টের পেয়েছে রিয়াল, কারণ বল দখল ও আক্রমণে যে সমানে সমান পাল্লা দিয়েছিল সেল্টা ভিগো। রিয়ালের ৪৯ ভাগ বল দখলের বিপরীতে সেল্টা ভিগোর দখলে বল ছিল ৫১%! রিয়ালে ১৬ শটের বিপরীতে সেল্টা ভিগোরও শট ছিল ১৫টি। কিন্তু সেল্টা ভিগোর ১৫ শটের অন টার্গেট ছিল মাত্র দুটি অপরদিকে রিয়ালের ১৬ শটের সাতটিই অন টার্গেট শট এবং এর চারটিই খুঁজে পেয়েছিল জালের ঠিকানা।
ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন করিম বেনজামা। মাত্র ৯ মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সেল্টা ভিগোকে সমতায় ফেরান ইয়াগো আসপাস।
এরপর প্রতিনিয়ত আক্রমণ চালায় রিয়াল মাদ্রিদ, যার ফলস্বরূপ ৪১ মিনিটের মাথায় আলাবার পাস থেকে লুকা মডরিচের অসাধারণ এক গোলে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ ড্রেসিংরুমে ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ।
বিরতির পর মাঠে নেমে আক্রমনের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় রিয়াল, ৫৬ মিনিটে লুকা মডরিচের পাস থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করে আরো একবার ব্যবধান বাড়ান। মিনিট দশেক পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান আরো বড় করেন ফেডেরিকো ভালভার্দে।
জয়ের ব্যবধান ৪-১ না হয় ৫-১ ও হতে পারতো, যদি না ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি মিস করতেন এডেন হ্যাজার্ড। ২ ম্যাচ শেষে ২ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকলো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে সিরি-এ তে নিজেদের মাঠে স্পেজিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের সহজ জয় পেল ইন্টার মিলান। ইন্টারের হয়ে গোল করেন লাওতারো মার্টিনেজ, হাকান কালহানোগু ও হোয়াকিন কোরেয়া।
অপরদিকে বুন্দেসলীগাতে শনিবার ছিল যেন অঘটনের দিন। ঘরের মাঠে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ডর্টমুন্ড ৮৯ মিনিট ও যোগ করা সময়ে দুগোল খেয়ে ৩-২ ব্যবধানে হারলো ভেয়ের্ডার ব্রেমেন এর কাছে। বুন্দেসলিগার অঘটনের দিনে হেরেছে আরবি লাইপজিগও, তারা ইউনিয়ন বার্লিনের কাছে হেরেছে ২-১ গোলে। স্টুটগার্টকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রাইবুর্গ, অন্য ম্যাচে লেভারকুসেনের সাথে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে হফেনহাইম।
খুলনা গেজেট/এমএনএস