বার্সেলোনার রাতের আকাশ জুড়ে আলো, সপ্তাহব্যাপী স্থানীয় এক উৎসবের সমাপ্তিতে ফুটছে আতশবাজি। মিলে গেল আরেক উপলক্ষ, কাতালান ক্লাবটির শিরোপা পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু। ভিয়ারিয়ালকে উড়িয়ে বার্সেলোনা আভাস দিল গত মৌসুমের দুঃস্বপ্ন চাপা দেওয়ার। ঘরের মাঠে রোববার রাতে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এই জয় দিয়ে কাম্প নউয়ে শুরু হলো রোনাল্ড কুমান অধ্যায়। স্বাগতিকদের চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দুটি গোল করেন আনসু ফাতি, একটি লিওনেল মেসি। অন্যটি আত্মঘাতী।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলের হার দিয়ে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনা ২০২০-২১ মৌসুমের শুরুতে ছিল সাবধানী। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে নিজেদের যেন পরীক্ষা করে নিচ্ছিল। বিপরীতে স্বাগতিকদের জায়গা না দেওয়ার পণ করে নেমেছিল ভিয়ারিয়াল।
তবে তাদের রক্ষণ ভাঙার সৃজনশীলতা ছিল মেসি-ফাতিদের খেলায়। পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে বল পাওয়া জর্দি আলবার কাটব্যাকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ফাতি।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাতি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান মেসি। বাঁদিকে অরক্ষিত তরুণ ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। ঠাণ্ডা মাথায় বাকিটা সারেন তরুণ ফরোয়ার্ড, কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল পাঠান জালে।
৩৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন মেসি। বলে হাত ছোঁয়াতে পেরেছিলেন আসেনহো, কিন্তু জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি। ফাতিকে ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক মারিও ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা। পাঁচ মিনিট পর লা লিগায় ফেরার ম্যাচে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। খুব কাছ থেকে তার চেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।
বিরতির ঠিক আগে সৌভাগ্যের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। এই গোলেরও উৎস প্রতি আক্রমণ। ফাতির কাছ থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান মেসি। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে থাকা সের্হিও বুসকেতসকে খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তার চমৎকার ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন পাউ তরেস।
প্রথমার্ধে নিজেদের অর্ধে গুটিয়ে থাকা ভিয়ারিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। তবে সেভাবে নেতোকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।
দিনের অন্য ম্যাচে গ্রানাদাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া ৩-১ গোলে কাদিসকে হারিয়ে শুরু করেছে লিগ।
খুলনা গেজেট/এএমআর