যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাসের আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণার পর তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, এ প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শুধু সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট এই লড়াইয়ে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার।
তবে যিনিই ওই পদের প্রার্থী হন না কেন, তাঁকে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে। প্রার্থী একজন হলে ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষ করার কথা রয়েছে।
বরিস জনসনের পদত্যাগের পর গত সেপ্টেম্বরে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ট্রাস।
করোনাকালে লকডাউনের মধ্যে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন থেকে শুরু করে বহু বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করেছিলেন জনসন। তবে এখনো পার্লামেন্ট ও দলে তাঁর অনেক মিত্র আছেন। তাঁরাই এখন তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদে ফেরাতে চাইছেন।
২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জনসন লন্ডনের মেয়র ছিলেন। পরে দুই বছরের জন্য যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন জনসন। পরদিন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। জনসন দুটি পদ থেকেই পদত্যাগ করেন গত ৬ সেপ্টেম্বর।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জনসন। ওই সময় থেরেসা মের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
তবে বিবিসি বলছে, ঋষি সুনাক পরবর্তী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ জন এমপির মনোনয়নের কাছাকাছি পৌঁছেছেন।
সাবেক এই অর্থমন্ত্রী এখন পর্যন্ত টোরি এমপিদের থেকে ৯৩ জনের সমর্থন পেয়েছেন, যদিও একটি প্রচারাভিযান সূত্র জানিয়েছে যে, তিনি এরই মধ্যে ১০০ জনেরই সমর্থন পেয়েছেন।