সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ব্রিধান ৭৮ ও ৮৭ জাতের ধান চাষাবাদ করে অধিক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। যার হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৫-৬ টন। এছাড়া লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় আমন মৌসুমে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ব্রিধান ৭৮ ও ৮৭ জাতের বিশেষ উপযোগিতা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের উত্তর কদমতলায় ব্র্রিধান ৭৮ ও ৮৭ জাতের ফলন নির্ণয়ের লক্ষ্যে নমুনা শস্য কর্তন শেষে এ তথ্য জানানো যায়।
এ উপলক্ষে শ্যমনগর উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক ড. মোঃ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফরিদুল হাসান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার এস. এম এনামুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার লতিফুল হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন, শামসুর রহমান, কামরুল হাসান, মাসুম বিল্লাহ, আলী হাসান, জামাল হোসেন, এস এম আহসানউল্লাহ, আশালতা, শামীম ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষকরা জানান, তারা অতীতে যেসব জাতের ধান চাষ করেছেন, তার তুলনায় ব্রিধান ৭৮ ও ৮৭ জাতের ফলন বেশি। এছাড়া ব্রিধান ৭৮ ও ৮৭ লবণ সহিষ্ণু।
এর আগে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসে ৪০জন কৃষকের মাঝে টাটা ক্রপ কেয়ার কোম্পানির রাজলক্ষ্মী ২৭৬০ জাতের ভুট্টার বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এসময় টাটা ক্রপ কেয়ার কোম্পানির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মোঃ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড