দশ দিনও হয়নি বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরেছেন। কিন্তু নতুন ভূমিকায় ফেরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের কাজের ক্ষেত্র এবার কী হবে, তা এখনো পরিষ্কার করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে গুঞ্জন ছিল, সিডন্স ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় দলের সঙ্গেই।
ব্যাটিং কোচের পদ থেকে আজ অ্যাশওয়েল প্রিন্স সরে যাওয়ায় সেই গুঞ্জনটাই কি তাহলে সত্যি হতে চলেছে?
গত ডিসেম্বরে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান সিডন্সকে ফেরানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর ফেরার প্রভাব কী হতে পারে, সেটি নিয়ে জল্পনা ছিল। বিসিবিরই বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল, সিডন্স শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গেই কাজ করবেন। সে ক্ষেত্রে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে থাকা প্রিন্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছিলই।
অবশ্য জানা গেছে, বিসিবির পরিকল্পনা ছিল, প্রিন্সকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে হাই পারফরম্যান্স দলের অথবা বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচ করা হবে।
প্রিন্স চলে যাওয়ায় এ দুটি জায়গা নিয়ে হয়তো বিসিবিকে নতুন করে ভাবতে হবে। তবে আরেক দিক দিয়ে বিসিবির একটা কাজ সহজই হয়ে গেল। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের ফাঁকা জায়গায় যে এখন জেমি সিডন্সই আসছেন, তা নিয়ে আর কোনো সংশয়ই রইল না।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘মাত্রই আমরা প্রিন্সের সিদ্ধান্তটি জানলাম। আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’ বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিডন্সই হতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচ। বিসিবির সঙ্গে তাঁর চুক্তি দুই বছরের।
জেমি সিডন্স এর আগে ২০০৭ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন
বিসিবি এখনো দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলেও বাংলাদেশে এসে এরই মধ্যে নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন সিডন্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ দেখেছেন, গিয়েছেন সিলেটেও।
এবার ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে এলেও এর আগে ২০০৭ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বেই ছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
খুলনা গেজেট/এএ