ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত মঙ্গলবার ৭ বিদেশি ত্রাণকর্মীকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। ওই হামলার পর ফুঁসে ওঠে পুরো বিশ্ব। এমনকি ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন।
বিদেশী ত্রাণকর্মীদের হত্যার তিনদিন পর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এর কারণ ব্যখ্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। তারা বলেছে, তাদের একটি ড্রোন ত্রাণকর্মীদের একটি ব্যাগকে অস্ত্র হিসেবে ভুল করে। এরপর প্রথমে একটি গাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।
এরপর ওই গাড়ি থেকে দুজন ব্যক্তি দ্রুত বের হয়ে আরেকটি গাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তখন ড্রোন থেকে ওই দ্বিতীয় গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এরপর দ্বিতীয় গাড়ির ব্যক্তিরা তৃতীয় গাড়িতে আশ্রয় নেন। তখন সেটিতেও হামলা চালানো হয়। এতে ৭ নিরীহ বিদেশি কর্মী প্রাণ হারান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, ওই গাড়িগুলো যে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের দাতব্য সংস্থার ছিল সেটি তারা বুঝতে পারেনি। কারণ গাড়ির ওপর সংস্থাটির যে স্টিকার ছিল সেটি ড্রোনের মাধ্যমে দেখা যায়নি।
তবে এ ঘটনায় মেজর ও কর্নেল পদমর্যাদার দুই সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়া অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে সেটিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এতে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র: বিবিসি
খুলনা গেজেট/এএজে