ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই দেশে ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ উঠেছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সরকারি ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের নেয়া ঋণের সুদহারও বাড়ছে। কারণ গত জুলাই থেকে সরকারের ঋণের সুদহারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সাধারণ গ্রাহককে দেয়া ব্যাংকঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষতি নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রভাব দেখা গেল ফেব্রুয়ারির শুরুতেই।
মুদ্রানীতির আধুনিকায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু করতে আইএমএফ এর শর্ত বাস্তবায়নে গত জুলাই মাস থেকে স্মার্ট সুদহার করিডোর চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রথম মাসে স্মার্ট সুদহার ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এ হিসাবে গত সাত মাসে স্মার্ট সুদহার বাড়লো এক দশমিক ৫৮ বেসিস পয়েন্ট।
প্রতি ছয় মাসের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের গড় সুদহার বের করে হিসাব করা হয় ‘স্মার্ট’ রেট। প্রতি মাসের শেষে বা প্রথম দিনে স্মার্ট সুদহার কত হবে তা জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যা পরবর্তী মাসে বিতরণ করা নতুন ঋণের জন্য প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন ও জুলাইয়ে মাসে স্মার্ট সুদহার ছিল ৭.১০ শতাংশ। অগাস্টে তা সামান্য বেড়ে ৭. ১৪ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৭.২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭.৪৩ শতাংশ হয়। এরপর নভেম্বরে ৭.৭২ শতাংশ , ডিসেম্বরে ৮.১৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ৮.৬৮ শতাংশ সুদহার ঠিক করে দেয়া হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রি-শিপমন্টে রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে গ্রাহকের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংক। আর এসএমই ঋণের বিপরীতে এর সঙ্গে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে।
খুলনা গেজেট/কেডি