খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

ভার‌তের কা‌ছে ৫৯ রানে হার বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৬০ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে মাত্র ১০০ রান করে থামে বাংলাদেশ। ৫৯ রানে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। চার ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার বাংলাদেশের। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ধীরগতিতে। শুরুতে উইকেট না পড়লেও রান ওঠেনি স্কোরবোর্ডে। পাওয়ার প্লে থেকে আসে মাত্র ৩০ রান। দুই ওপেনারই বেশি বল খেলে কম রান করেন। এতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ফারজানা ৪০ বলে ৩০ ও মুর্শিদা ২৫ বলে ২১ রান করেন। জ্যোতি এসে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু রানরেট বেশি হওয়ায় তিনিও কিছু করতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৯ বলে ৩৬ রান করেন সর্বোচ্চ। শেষ দিকে বাংলাদেশের উইকেটের মিছিল দেখা যায়। ৯১ থেকে ৯৫ পর্যন্ত ৪ রানে হারায় ৪ উইকেট। এর আগে বোলিংটাও ছিলো এলোমেলো। ম্যাচসেরার পুরষ্কার পান শেফালি।

হারের পথে বাংলাদেশ

রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ধীরগতিতে। ক্রিজে আকড়ে পড়ে ছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু স্কোরবোর্ডে রান জমা হয়নি। মুর্শিদার পর ফিরলেন ফারজানাও। ৪০ বলে ৩০ রান করে দীপ্তির বলে রানার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লং অনে। তার পরে ক্রিজে এসেই দীপ্তির সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন রুমানা। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭০ রান। ৩০ বলে প্রয়োজন ৯০ রান। ক্রিজে জ্যোতির সঙ্গী রিতু মনি।

ধীরগতির শুরুর পর আউট মুর্শিদা

ধীরগতির শুরুর পর সাজঘরে ফিরলেন মুর্শিদা। ক্রিজে থিতু হয়ে যখন তার কাজ ছিল দ্রুত রান তোলা তখনই তিনি আউট হয়ে ফেরেন। রাঙা ঝুলিয়ে দেওয়া বলে মারতে গিয়ে শর্ট কাভারে মান্ধানার হাতে ধরা পড়েন আগের ম্যাচে ফিফটি করা মুর্শিদা। ২৫ বলে ২১ রান করেন তিনি। তার আউটের আগে ৯ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৪৫ রান করে। ক্রিজে ফারজানার সঙ্গী জ্যোতি।

পাওয়ার প্লেতে ধীরগতির বাংলাদেশ

রান তাড়া করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মুর্শিদা-ফারজানার ব্যাট থেকে ৩ ওভারে আসে মাত্র ১১ রান। বাউন্ডারি আসে মাত্র ১টি। এরপর রানের গতি কিছুটা বাড়ে। পাওয়া প্লের বাকি ৩ ওভারে রান আসে ১৯টি। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ রান।দেড়শর বেশি রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে এমন শুরু ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে।

জ্যোতিদের ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো ভারত

ওপেনিং জুটিতেই যা রান তোলার তুলে ফেলে ভারত। স্মৃতি-শেফালির জুটি থেকে রান আসে ৯৬টি। তার মধ্যে পাওয়ার প্লেতে তোলে ৫৯ রান। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন শেফালি। ৪৭ রান আসে স্মৃতির ব্যাট থেকে। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন জেমিইমাহ। তিনি ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তারা ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রুমানা। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা তৃষ্ণা ২ ওভারে দেন ২৫ রান। এরপর তাকে আর বোলিং দেননি অধিনায়ক।

শেশ চার ওভারে পড়লো দুটি ক্যাচ

১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রুমানাকে স্লগ সুইপ করেন রিচা। মিড উইকেটে ক্যাচ উঠলেও বাংলাদেশের কোনো ফ্লিডার তালুবন্দি কর‍তে পারেননি। একসঙ্গে দুজন এগিয়ে আসায় ভুলটি হয়। অবশ্য রিচা আউট হয়ে যান এই ওভারেই। রুমানার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বল হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। কিন্তু জেমিইমাহর সোজা খেলা বল রুমানার তালুবন্দি হওয়ার আগেই মাটিতে লাগে। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক হয়ে ওঠেনি।

রুমানার জোড়া আঘাত, ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারালো ভারত

১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে পরপর ভারতের দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুমানা আহমেদ। লং অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রিচা ঘোষ (৪) ধরা পড়েন ফারজানার হাতে। আর ক্রিজে এসেই শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন কিরণ। পরের ওভারে প্রথম বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। ৯৬ রানে জুটি ভাঙার পর ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত।

বোল্ড শেফালি

স্মৃতির রান আউটের দুই ওভার পরে সাজঘরে ফিরলেন ফিফটি করা শেফালি। শুরু থেকেই তিনি দ্রুত রান তুলছিলেন। রুমানাকে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে বাধে বিপত্তি। বল ব্যাট মিস করে ভেঙে দেয় উইকেট। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন শেফালি। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। দুই ওপেনার ফেরার পর ভারতের রানের গতিও কমেছে। ১৪ থেকে ১৭ পর্যন্ত চার ওভারে তারা মাত্র ২০ রান নিয়েছে।

রান আউটে ভাঙল ওপেনিং জুটি

কোনো বোলারই ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি। ভাঙে রানআউটে। ফাহিমার করা ১২তম ওভারের শেষ বলে কাভারে খেলেন শেফালি। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা স্মৃতি খেয়াল না করে দেন দৌড়। ক্রিজের অর্ধেক চলে যান তিনি। এরমধ্যে বল কুড়িয়ে রিতু দেন ফাহিমাকে। রানআউট করতে ভুল করেননি ফাহিমা। ভেঙে যায় ৯৬ রানের জুটি ৬ চারে ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন স্মৃতি। শেফালির সঙ্গী জেমিইমাহ।

ছুটছে রানের ফোয়ারা

প্রায় প্রতি ওভারেই একটি বাউন্ডারি। স্মৃতি ও শেফালির দ‌্যুতি ছড়ানো ব‌্যাটিংয়ে ছুটছে ভারতের রানের ফোয়ারা। ১০ ওভারে ৯১ রান তুলে স্বাগতিকদের ব‌্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ভারত। স্মৃতি ও শেফালি ভারতের অন‌্যতম সফল ওপেনিং জুটি। ৮টি ফিফটি ও ২টি শতরানের জুটি আছে তাদের। সিলেটের মাঠে নতুন আরেকটি স্মৃতি নিজেদের সঙ্গে জড়িয়ে নিচ্ছেন তারা।

স্মৃতি-শেফালির ঝড়ে শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশ

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে ভারত। স্মৃতি-শেফালি দুজনেই খেলছেন হাত খুলে। রান তুলছেন দ্রুত। তৃষ্ণার চতুর্থ ওভারে দুই চার এক ছয়ে ১৭ রান নেন শেফালি। ষষ্ঠ ওভারে নাহিদাকে টানা তিন চার মারেন স্মৃতি। এই ওভার ১৭ রান দেন বাংলাদেশের সেরা স্পিনার। পাওয়ার প্লে থেকে ভারত কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৫৯ রান। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা তৃষ্ণা ২ ওভারে দেন ২৫ রান। স্মৃতি ৩১ ও শেফালি ২৬ রানে ব্যাট করছেন।

নেই ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

নারী এশিয়া কাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস হেরে ফিল্ডিং করবে স্বাগতিকরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় খেলাটি শুরু হবে। ভারত খেলতে নেমেছে নিয়মিত অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌরকে ছাড়া। নেতৃত্ব দেবেন স্মৃতি মান্ধানা। এদিকে বাংলাদেশ নেমেছে এক পরিবর্তন নিয়ে। শামীমা সুলতানার জায়গায় খেলছেন লতা মণ্ডল।

বাংলাদেশ একাদশ

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মুর্শিদা খাতুন, ফারজানা হক, রিতু মনি, লতা মণ্ডল, ফাহিমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, নাহিদা আক্তার, সালমা খাতুন, ফারিহা তৃষ্ণা ও সানজিদা আক্তার মেঘলা।

ভারত একাদশ

স্মৃতি মান্ধানা (অধিনায়ক), শেফালি বর্মা, মেঘানা, জেমিমাহ রদ্রিগেজ, রিচা ঘোষ, কিরণ নভগিরে, পূজা ভাস্কর, দীপ্তি শর্মা, স্নেহ রানা, রেনুকা সিং ও রাজেশ্বরি গায়কোয়াদ।

 

উজ্জীবিত বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ব্যাটার মুর্শিদা খাতুন বলছিলেন তারা ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা হলে শতভাগ উজ্জীবিত হন। পাকিস্তানের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচে ছিলেন না মুর্শিদা।

পরের ম্যাচেই দলে ফিরে ফিফটি করা মুর্শিদা ভারত নিয়ে বলছিলেন এভাবে, ‘ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেললে ৯০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে এনার্জি লেভেল চলে আসে।’

অনেক এগিয়ে ভারত

শতভাগ শক্তিতে উজ্জীবিত হলেও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বলছে ভিন্ন কথা। এখন পর্যন্ত ১২ বার খেলেছে ভারতের বিপক্ষে। ১০ বারই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দুটি জয় এসেছে গত এশিয়া কাপে— একটি গ্রুপপর্বে, আরেকটি ফাইনালে। এশিয়া কাপে ভারত খেলেছে ৩৯টি ম্যাচ। তাতে হেরেছে মাত্র তিনটি ম্যাচে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে গতকাল।

খুলনা গেজেট/এসজেড




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!