ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বোনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামীকে মারপিট করতে এসে ধরা খেলেন মনিকান্ত মন্ডল নামে এক যুবকসহ চারজন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। গত ১৭ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।
আটক মনিকান্ত মন্ডল বাঘারপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে। এছাড়া আটক অপর তিন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হলো, যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার আলম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলার করিমালি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন ও পাঁচপোতা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন।
সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের সুবল নন্দীর ছেলে বিলাশ নন্দীর সাথে বাঘারপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিকান্ত মন্ডলের বোন প্রিয়ঙ্কা মন্ডলের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু বিলাশ নন্দীর পিছু ছাড়েনি প্রিয়ঙ্কা মন্ডলের পরিবার। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় বিলাশকে খুন গুমের ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল মনিকান্ত।
গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মনিকান্ত তার সহযোগি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তিনজনকে সাথে নিয়ে বিলাশ নন্দীকে খুন করার জন্য তাদের বাড়ির পাশে যায়। এসময় অপরিচিত লোক দেখে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চায়। কিন্তু তারা পরিচয় দিতে গিয়ে এলোমেলো কথা বলে। এ কারণে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। এক পর্যায় আরো লোকজন জড়ো হয়ে তাদের চারজনকে ধরে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ধারালো একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় তারা জানিয়েছে বোনকে তালাক দেয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বিলাশ নন্দীর বাড়ির পাশে ঘোরাফেরা করছিল। চেয়ারম্যান বিষয়টি বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ সরদারকে জানান। এরপরে ওই চারজনকে নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ সরদার বলেন, রাতের বেলায় বিলাশ নন্দীর বাড়ির কাছ দিয়ে ঘোরাফেরা করার সময় গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়েছে।
ভুক্তভোগী বিলাশ নন্দী বলেন, মামলা নিতে থানা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করায় তারা অঙ্গীকারনামা দিয়ে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, দুই পক্ষ থানায় বসে ঘটনাটি মিমাংসা করে নিয়েছেন। এ কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম