কোন এক গ্রামের একটি গাছে বাসা তৈরী করে বসবাস করত দুটি পাখি। আর গ্রামে এক বাড়িতে ছিল একটি পোষা বিড়াল। বিড়ালটি একদিন পাখির কাছে এসে বললো,
: বর ম্যাও, বর ম্যাও ও পাখি আমি তোমাকে খাব।
: আগে আমার ডিম পাড়ি ডিম সহ খেও।
বিড়াল মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে বাড়ি এলো। মনে মনে ভাবল পাখিও খাব ডিমও খাব। কি মজা হবে! বিড়াল বাড়ি এসে অন্য বিড়ালদের জানালো, তার আনন্দের কথা। তারা কেউ বিশ্বাস করলো না। কথা শুনে হাঁসলো। তারা হাঁসতে হাঁসতে বললো,
: এই পাখি তোমাকে বোকা বানাবে।
: কখনো না।
কয়েকদিন পরে বিড়াল আনন্দ মনে হাঁটতে হাঁটতে পাখির বাসার পাশে এলো।
: বর ম্যাও, বর ম্যাও ও পাখি আজকে তোমাকে খাব।
: ডিম পাড়ছি। বাচ্ছা ফুটুক। বাচ্ছাসহ খেও।
: ঠিক আছে। মনে থাকে যেন।
: মনে থাকবে।
বিড়াল মনের আনন্দে বাড়ি এলো। অন্য বিড়ালরা বললো,
: পাখি ও ডিম খেয়েছো।
: পাখি ও বাচ্ছা খাব তোমারা দেখে নিও।
: আমরা তোমার বোকা হওয়ার দৃশ্য দেখবো।
আরো কয়েকদিন পরে বিড়ালটি পাখির কাছে গেল।
: বর ম্যাও, বর ম্যাও, আজ তোমাকে খাব।
: বাচ্ছা গুলি বড় হোক তারপরে খেও।
বিড়ালটি মনের আনন্দে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিড়ে এলো। অন্য বিড়ালগুলি ছুটে এলো।
: কিরে আজ কি পাখি খেয়ে আসছিস নাকি?
: না বলেছে বাচ্ছাগুলি বড় হলে খাব।
: তারা সবাই খিল খিলিয়ে হাঁসলো।
: তোদের হাঁসি বন্ধ করবই।
পাখিরা মনে মনে আজ বিড়াল আসতে পারে। তাই বাচ্ছাগুলিকে একটি গাছের ডালে বসিয়ে রেখে এলো। ভাবতে না ভাবতেই বিড়াল চলে এলো।
: বর ম্যাও, বর ম্যাও। ও পাখি আজ খাব।
: ঠিক আছে খেও। তুমি খেলে আমরা মরে যাবো। মরে যাবার আগে এক সাথে গল্প গুজব করে যাই।
: ভালো কথা বলছ।
পাখি ও বিড়াল জীবনের সুখ-দুঃখ অনেক গল্প বলাবলি করলো। সুযোগ মত পাখি উড়ে গেল। বিড়াল দেখে বাসায় কোন বাচ্ছা নেই। সে বুঝে ফেললো পাখি তাকে বোকা বানিয়েছে। মনের দুঃখে পাখির বাসাটি মুখে করে বাসায় এলো। এই অবস্থা দেখে সব বিড়াল এসে তামাশা করতে লাগলো। সে কান্না শুরু করে দিল দুঃখে।
: এই তোমরা আর তামাশা করনা। কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিও না।
বিড়ালটি কোন কথা না বলে চুপ রইল।
খুলনা গেজেট/কেএম