খুলনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে চাঁদা নিতে এসে পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন ৮ যুবক। বুধবার রাত দশটার দিকে নগরীর খালিশপুর থানাধীন ৯নং ওয়ার্ড বাস্তুহারা কলোনীর বাসিন্দা বাপ্পির কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে তারা পুলিশের কাছে আটক হয়। এর আগে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, খুলনার খালিশপুর এলাকার দুর্বার সংঘ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক রায়হান। রায়হান নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আরও ৮ জন যুবকসহ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খালিশপুর বাস্তুহারা কলোনীর ২নং রোডের বাসিন্দা বাপ্পির বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময়ে রায়হানসহ উপস্থিত আরও কয়েকজন যুবক তাকে পতিত সরকারের দোসর বলে দাবি করে। এসময়ে তারা বাপ্পির কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে বাপ্পিকে তারা হুমকি দেয়। এলাকাবাসি এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময়ে রায়হানের সাথে থাকা কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রায়হানসহ ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, রাত দশটার দিকে কয়েকজন যুবক এসে বাস্তুহারা কলোনীর বাসিন্দা বাপ্পিকে আওয়ামী লীগের দোসর বলতে থাকে। পতিত সরকারের নেতাকর্মীদের টাকা দিত বলে তারা দাবি করে চাঁদা চায়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে চিৎকার চেঁচামেচি হয়। এ সময়ে এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে তাদের আটকিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রায়হান নিজেকে নগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যুগ্ম সম্পাদক পরিচয় দিলেও সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের ডেকে আনা হলেও তারাও তাকে চেনে না বলে উপস্থিত জনগণকে জানান।
খালিশপুর থানার এস আই সোবহান বলেন, রাতে বাস্তহারা কলোনীর ২ নং রোডের একটি বাড়িতে গন্ডগোল হয়েছে জানতে পেরে সেখানে যান তিনি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জেনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ৮ জনকে থানায় নিয়ে আসেন তিনি। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগকারী মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/সাগর/এনএম