বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। দেশটির রাজধানী মিনস্কে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে তারা। এর মধ্যেই পুলিশি সহিংসতায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে ‘মার্চ ফর ফ্রিডম’ নামে ওই বিক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ভোট কারচুপির অজুহাতে বাইরে থেকে সামরিক হামলার হুমকি আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট। প্রতিবেশী পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে সামরিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে নামে সাধারণ মানুষ। এও শোনা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে দুবার কথা বলেছেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো।
ইউক্রেনে মস্কোর ক্রিমিয়া অভিযানের পরে বাল্টিক দেশগুলোতে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চারটি সামরিক দল পাঠিয়েছে ন্যাটো। এর ফলে লুকাশেঙ্কোর আশঙ্কা, বেলারুশেও ন্যাটো বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশকে ‘ইঁদুর’ বলেছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। তিনি দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তাঁর নিজের সমর্থকদের আহ্বান জানান।
লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সভেতলানা তিখানোভস্কায়া নামের এক তরুণী। কিন্তু দেখা গেছে, তিখানোভস্কায়া পেয়েছেন ১০ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো পেয়েছেন ৮০ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। এতে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তিখানোভস্কায়া বলছেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে তিনি জয়লাভ করতেন।
এদিকে সরকারের বিরোধিতা করায় বেলারুশে অন্তত ছয় হাজার ৭০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকেই পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন