রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পাঁচ দিনব্যাপী ৭ম গুনগুন-রণন বইমেলা শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেরোবির স্বাধীনতা স্মারক মাঠের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বেরোবির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ আলম, বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক সংগঠন গুনগুনের সভাপতি উমর ফারুকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে মেয়র মোস্তফা বলেন, এ ধরনের বইমেলার আয়োজন অবশ্যই একটি ইতিবাচক কর্মসূচি। এর আগে রংপুরে কখনো জেলাওয়ারি মেলা আয়োজিত না হলেও, গুনগুন ও রণন বছরের পর বছর এই বইমেলাকে ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করে বইপ্রেমিকদের বই পড়ার প্রতি যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে নতুন করে তার জন্য তারা প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, আমাদের উচিত কখনও বইবিমুখ না হওয়া। বই কেনার ক্ষেত্রে আমাদের যে অনীহা আছে তা দূর করতে হবে। এবং বইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে নিজের ভেতরে নিজস্ব এক ভুবন তৈরি করে আমাদের লালিত প্রত্যয় ও স্বপ্নকে আরও পরিশীলিত করে তুলতে হবে।
এদিকে বইমেলা উপলক্ষে বেরোবির স্বাধীনতা স্মারক মাঠজুড়ে বসেছে প্রায় ৪০টিরও বেশি স্টল। এদের মধ্যে রয়েছে আগামী প্রকাশনী, কথাপ্রকাশের মতো দেশসেরা প্রকাশনা থেকে শুরু করে রক্তদানের সংগঠন বাঁধন কিংবা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া সংগঠন স্বপ্নসিঁড়ির স্টল।
আবার ‘গ্রীন ভয়েস’ স্টলে দেখা যায় দর্শনার্থীদের বইয়ের সঙ্গে বৃক্ষও উপহার দিতে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই স্টলের এক বই বিক্রেতা বলেন, আমাদের চারপাশে ব্যাপক হারে বৃক্ষনিধন চলছে। এই নির্বিচার বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে কাজ করতেই আমরা এই মেলায় দর্শনার্থীদের বইয়ের সঙ্গে বৃক্ষ উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
বইমেলার আয়োজন সম্পর্কে গুনগুনের সভাপতি উমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই আমাদের আজীবনের এক নির্মোহ বন্ধু। এই বন্ধুর মাধ্যমে আমরা যে প্রতিনিয়ত জানবার সুযোগ পাই; সেটাকে যদি পাঠকেরা সদ্ব্যবহার করেন, তবে সেটাই হবে আমাদের সার্থকতা।
পরে মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নীলার্দ্র বলেন, প্রতিটি বই-ই আমাদের নতুন কিছু শেখায়। এ মেলায় এসে নতুন-পুরোনো বইয়ের সমাহার দেখে মনে হচ্ছে এ আয়োজনগুলো যদি আরও দীর্ঘ সময় ধরে হতো, তবে আরও ভাল লাগতো।
উল্লেখ্য, মেলাটি সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে