যশোরের বেনাপোল বন্দরের ঠিকাদারির কাজ দখলকে কেন্দ্র করে মুর্হুর মুহু বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বোমার স্প্রিন্টারে গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারীসহ বন্দরের ২০ শ্রমিক। এ ঘটনার পর বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। হামলায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। সোমবার(২৮ মার্চ) সকালে এ বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকের ঠিকাদারি কাজ দখলে নিতে দু’টি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই এ অবস্থা রুদ্ররূপ ধারণ করে। দুটি গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ ধারণ করে। শুরু হয় বোমা হামলা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বোমার স্প্রিন্টারে গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারীসহ বন্দরের ২০ শ্রমিক। তাদেরকে শার্শা বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, এদিন সকালে প্রতিদিনের ন্যায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কোনো কিছু বোঝার আগেই বহিরাগত একদল শ্রমিক বন্দরের সামনে অর্ধ শতাদিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে বন্দরে সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় রাশেদের লোকজন বন্দরে এ বোমা হামলা চালিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে নাভারন পুলিশের ক-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে তদন্তে জানা গেছে, রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বাকিদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/ এস আই