দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুই সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুই সিএন্ডএফ এজেন্ট হলো- শার্শা উপজেলার পুটখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মালিকাধীন রিমু এন্টারপ্রাইজ ও আব্দুর রশিদের মালিকাধীন সানি এন্টারপ্রাইজ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাদের লাইসেন্সের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ছাড় করার চেষ্টা করে। এসময় গোপন সংবাদে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালান আটক করে। পরে কাগজ-পত্র যাচাই করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে শুল্কফঁকির অর্থ আদায় ও লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, শুল্ক ফাঁকি রোধে কাস্টমসের পাশাপাশি তারাও সতর্ক আছেন। অবৈধভাবে পণ্য আমদানির কোনো তথ্য পেলে তারা দ্রুত কাস্টমসকে অবহিত করে থাকেন।
বেনাপোলের কিছু সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, এ বন্দরের এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে। এতে সরকার শত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এদিকে গত তিন বছরে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১৭০ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, শুল্ক ফাঁকিদাতারা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় নাই। ইতিমধ্যে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুই সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কিছু সিএন্ডএফের কালো তালিকা করে তদন্ত চলছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে খুব দ্রুত তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন