বেনাপোল স্থল বন্দর চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ১০ দিনে (১-১০ অক্টোবর পর্যন্ত) ১৩ হাজার ৩৮২ জন পাসপোর্টযাত্রী বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছেন। এদের মধ্যে মেডিকেল ভিসায় যাতায়াতের সংখ্যা বেশি।
দীর্ঘদিন করোনার দাপটে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকার কয়েক দফা বন্ধ করে দেয় যাত্রী চলাচল। ফলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট এলাকাটি জনসমাগম না থাকায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় সরগম হয়ে উঠেছে এই আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট। প্রায় দুই বছর যাবত এ পথে যাত্রী পারাপার বিশেষ ভিসা ও হাইকমিশনের অনুমতি ছাড়া গমনাগমন ছিল নিষিদ্ধ। গত ১০ দিনে এ পথে যাতায়াত করেছেন ১৩ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে ভারতে যাওয়া ৭ হাজার ৩০৮ জন ও ভারত থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৭৪ জন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন করোনা আতঙ্কে দুই দেশের পাসপোর্টযাত্রী বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি মেডিকেল ও বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরিরত যাত্রী চলাচলের অনুমতি মেলার পরও যাত্রী চলাচল ছিল প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে তিনশ‘ জন। কারণ যাত্রীদের ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে অনুমতি পত্র লাগত। এছাড়া বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকতে হতো যাত্রীদের নিজ খরচে। কোয়ারেন্টাইন ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনের অনুমতি তুলে নেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
গত ১ অক্টোবর ভারত বাংলাদেশ এর মধ্যে যাতায়াত করেছেন ১৩৫৭ জন, ২ অক্টোবর ১২৬৭ জন, ৩ অক্টোবর ১১৬৫ জন, ৪ অক্টোবর ১২৯৯ জন, ৫ অক্টোবর ১৩৩৫ জন, ৬ অক্টোবর ১২৮৬ জন, ৭ অক্টোবর ১৩৩২ জন, ৮ অক্টোবর ১৭১০, ৯ অক্টোবর ১২৮০ ও ১০ অক্টোবর ১৩৫১। স্থল পথে ভ্রমণ ভিসা চালু হলে এ পথে ১০ হাজারের উপরে যাত্রী চলাচল করবে বলে সূত্র দাবি করেছেন।
এছাড়া বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় বহিরাগত লোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ ও ইমিগ্রেশনের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হওয়ায় যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা থেকে আসাদুর রহমান, খুলনা থেকে জাহাঙ্গীর আলম, বাগেরহাট থেকে আসা দিলিপ কুমার জানান, এ পথে আগেও যাতায়াত করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় প্রবেশ মুখে বহিরাগত কিছু লোক উৎপাত করত। আজ এ উৎপাত দেখতে পাচ্ছি না। ভালো লাগছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, এসবি পুলিশ সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করবে। কেউ যাতে এখানে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য কাজ করতে সকল অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোন বহিরাগত দালালের উৎপাতের অভিযোগ পাওয়া যায় তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই