পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস ওমিক্রন মোকাবিলায় নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করায় সোমবার সকাল থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেনাপোল চেকপোস্টে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিদের্শে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ভারত গমনাগমনকারী যাত্রীদের স্ক্রিনিং করছে সতর্কতার সঙ্গে। ভারত থেকে আসা ১২ বছরের উর্ধ্বে সব যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আনলেও তাদের র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। রোববার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২০০০ যাত্রী ভারতে গমনাগমন করছেন। সোমবার মাত্র ৩০০ জন যাত্রী এ পর্যন্ত যাতায়াত করেছে। যাত্রী সংখ্যাও হঠাৎ করে কমতে শুরু করেছে।
মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা (আমদানি রফতানি ডকুমেন্টস) ছাড়া কাউকে ভারতে শ্রবেশ করতে দিচ্ছে না ভারতীয় ইমিগ্রেশন। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৬২ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জনের দেহে ওমিক্রন সনাক্ত হয়েছে। তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা যাত্রী মোস্তফা জানান, ভারত থেকে ফেরার পথে তাকে ইমিগ্রেশেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে; যারা ভারতে প্রবেশ করছে তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ভারতীয় নাগরিক দ্বীপ ঘোষ জানান, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষনা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
ভারতীয় ট্রাকচালকরা বেনাপোল বন্দরে মাস্ক ছাড়াই প্রবেশ করছে। বন্দর এলাকায় ট্রাকচালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে সরেজমিন দেখা যায়।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি রাজু আহমেদ জানান, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস ওমিক্রন মোকাবেলায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করায় আমরাও সতর্কতামূলক অবস্থানে আছি। তবে আজ থেকে হঠাৎ করে যাত্রী পারাপার কমে গেছে।
বেনাপোল স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. আশরাফুজ্জামান জানান, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস ওমিক্রন মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে ভারত ফেরত যাত্রীদের সতর্কভাবে স্কিনিং ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে।