পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
নিহতরা হলেন, ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের মাসুম আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১৯), একই গ্রামের ইলিয়াছ আহমেদের ছেলে শিশির (১৯), আনোয়ার কবিরের ছেলে বিজয় (১৯), রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ (১৯) ও সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে শাওন হোসেন (১৯)।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের দাশুড়িয়ায় পাবনা সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদী থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল প্রাইভেটকারটি। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তারা কয়েক বন্ধু একটি প্রাইভেটকার নিয়ে বেড়াতে বের হয়। প্রাইভেটকারটি দাশুড়িয়া থেকে কালিকাপুরে ফেরার পধে পাবনা সুগার মিলের সামনের মিল গেটে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের মাঝখানে ঢুকে পড়ে। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও ঈশ্বরদী থানার পুলিশ সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে।