বাজারে যথেষ্ট মজুদ থাকা সত্ত্বেও গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ২ থেকে ৩ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। তেলের বাজারে কোন সুখবর নেই। পেঁয়াজ ও রসুনের দর পূর্বাবস্থায় থাকলেও বেড়েছে বেগুন ও আদার দাম।
আজ বুধবার রমজানের প্রথম দিন নগরীর চালের খুচরা বাজার থেকে জানা গেছে, লোকাল ২৮-সেদ্ধ ৫৮ টাকায় বিক্রি হচেছ। একই ভাবে দেশী সরু মিনিকেট ৬০ টাকা, বটিয়াঘাটার ভাইটেল ৫৮ টাকা, ইরি ২৮- আতপ ৫৪ টাকা, গাজী ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আমদানিকৃত চাল স্বর্ণা ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনুরূপভাবে টাইগার ৫৪ টাকা, বঙ্গবন্ধু মিনিকেট ৬৪ টাকা, ভারতীয় লোকাল মিনিকেট ৫৮ টাকা, ভারতীয় ২৮ বালাম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মের্সাস শংকর কুন্ডু এন্টরপ্রাইজের মালিক জানান, বাজারে দেশী চাল তেমন একটা নেই। যা আছে তাও অপ্রতুল। এ চাল দিয়ে বাজার টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে ভারতীয় চালের আমদানি ও মজুদ ব্যাপক রয়েছে। গত দু’দিন ধরে আমদানির পরিমাণ একটু কম থাকায় বাজার আবারও চড়াও হয়েছে। আগামি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বাজার দর কমতির দিকে যাবে। কারণ নতুন ধানের চাল বাজারে আমদানি হলে বাজার সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
অপরদিকে নগরীর দোলখোলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, লকডাউনের কারণে গত কয়েকদিন ধরে বাজার বেশ গরম হয়ে আছে। তবে বেশীদিন এ গরম থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে গত এক মাস ধরে তেলের বাজার একই রকমের রয়েছে। কোম্পানীভেদে প্রতিটি পাঁচ লিটারের বোতল ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সোয়াবিন ১৩৫ টাকা, পাম অয়েল ১২৩ টাকা, সুপার অয়েল ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের এক তেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তেলে বাজার দর আর উঠবে না। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ফলের দাম নিম্নমুখী। বাজার দর খুব শিগগিরই পতন হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বড় বাজার কাঁচা পাকা আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদাক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারি জানান, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম পূর্বমূল্যে বহাল আছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন যথক্রমে ৪০ ও ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লকডাউনের আগে মানুষ তাদের প্রয়োজন মতো ক্রয় করেছে, তাই এটি বর্তমান মূল্যে আপাতত স্থির থাকবে।
অন্যদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের মূল্য ৩০ টাকা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে যে বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের বেগুন বিক্রেতা মোঃ আনোয়ার জানান, রমজানের কারণে বেগুনের দাম দ্বিগুন বেড়েছে। গত তিন সপ্তাহ আগে এটি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে,আর এখন তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোকা বা বাছাই করা বেগুনের নাম করে বেগুনের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়, রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে এটির দাম বৃদ্ধি করেছে।
আদার দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমানে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আদা। গত সপ্তাহে এ আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। বড় বাজারের খুচরা আদা ব্যবসায়ী রহিম শেখ জানান, তারা বর্তমানে ৭৫ টাকায় আদা ক্রয় করে এ দামে বিক্রি করছেন। বাজারে দেশী আদা নেই। আদার জন্য হয় তাদের ভারত, না হয় চায়নার মুখাপেক্ষী হতে হয়। তাদের বাজার দর বাড়লে আমাদের বাড়তি দরে ক্রয় করে তা বিক্রি করতে হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই