রাজধানীর বেইলি রোডের ছয়তলা ভবনে আগুনে নিহত অধিকাংশেরই পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার(১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ির বাসিন্দা মুসলেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), মালিবাগের ২১৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা প্রলেনাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৬), পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জের শিপন পোদ্দারের মেয়ে সম্পনা পোদ্দার (১১),ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা কুরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন ওরফে রিয়া (২২) ও তার বোন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন,মতিঝিলের আরামবাগের বাসিন্দা নাজিয়া আক্তার (৩১) এবং তাঁর ছেলে আরাহাম মোস্তফা আহামেদ (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৫), কুমিল্লার মুরাদনগরের নবিপুরের সম্পা সাহা (৪৬), রমনা সার্কিট হাউস রোডের বাসিন্দা ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর নাহার করিম ওরফে লাকি (৫০) এবং তাঁর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী জান্নাতি তাজরিন ওরফে নিকিতা (২৩), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্বচর আলীমবাগের মোহাম্মদ জিহাদ (২২),
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে- নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার শান্ত হোসেন (২৪), মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা কবির খানের দুই মেয়ে মায়শা কবির ওরফে মাহি (২১) ও মেহেরা কবির দোলা (২৯),যশোর সদর থানার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা কবির হাসানের ছেলে কামরুল হাসান (২০), ভোলা সদর থানার উত্তর পাড়ার মাঈনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩), মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাউর রহমান ওরফে শামীম (৬৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের হাতিগাড়ার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান ওরফে শিমু (১৯)।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া গণমাধ্যমে বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪১ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঁচটি মরদেহ রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি