রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি আছে। ধোঁয়ার কারণে এবং ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা প্রশাসনের।
এদিকে ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৫ জন লোক মারা গেছে এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে কোন ফায়ার এক্সিট নেই। এসব ভবন নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ার এবং মালিকদের গাফেলতি থাকে। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব প্রয়োজন। বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, জীবন ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স কিন্তু নিরাপত্তা দিতে পারে।
অপরদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকে মারা গিয়েছেন। এই মৃত্যু কাম্য নয়। এই মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি আছে। ধোঁয়ার কারণে মানুষ যখন অচেতন হয়ে পড়ে ছিলো, সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি, কারো গাফিলতি ছিলো কি না আমরা দেখতে চাই। শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীণ কজি কটেজ ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেফ্টি প্ল্যান ছিলো কি না আমরা তদন্ত করে দেখতে চাই। এছাড়া ভবন নির্মাণ করতে অন্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিলো কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখবো।
ভবনটিতে অফিস করার অনুমতি ছিলো। কিন্তু অফিস না করে এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ দোকান করা হয়েছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুধু ফায়ার সেফ্টি প্ল্যানটা দেখি। এ বিষয়ে রাজউক বলতে পারবে।
তবে বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখব। এই ভবনটাকে ইতিপূর্বে ফায়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। ব্যবসায়ীদের অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার বলে জানান তিনি।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিলো নিচতলা থেকে। আমাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম