খুলনার পাইকগাছায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নন বোর্ডের বেঁড়িবাধ উপছে এবং কোথায়ও বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পানির তোড়ে ১৮/১৯ নং পোল্ডারের লতার উত্তর কাঠামারীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ উপছে গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে ।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারেরর চাপে ওয়াপদার বাহির অংশে মৎস্য ঘের তলিয়ে বেঁড়িবাধ উপচে পোল্ডার অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ২০/১ নং পোল্ডারের দেলুটির ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গড়ইখালীর ১০/১২ নং পোল্ডারের বাঁধ ভেঙে বাজার প্লাবিত হয়েছে। কুমখালীর ক্ষুতখালীতে বিপদজনক বেঁড়িবাধে বালির বস্তা ও মাটি ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অপরদিকে বুধবার দুপুরে ২৩ নং পোল্ডারের সোলাদানা ইউপির বয়ারঝাপায় ভেঙে যাওয়া বেঁড়িবাধ মেরামত করে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জান নো হয়েছে। এর পুর্বে কয়েক ঘন্টার জোয়ারের পানিতে এলাকার শত-শত চিংড়ি ঘের, রাস্তা-ঘাট, ঘরবড়ী ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, বেঁড়িবাধ সংস্কার ও মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে প্রশাসনের সব ধরনের প্রচেষ্টা আছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা প্রকৌশলী মোঃ ফরিদউদ্দীন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর তত্বাবধানে ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বর, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ এলাকার শত-শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধ মেরামত করে এলাকা রক্ষা করেছেন।
তিনি আরোও জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুকিপূর্ন বেঁড়িবাধ সংস্কারের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন, যা অচিরেই দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে বাঁধের কাজ শুরু হবে। উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২০(১) নং পোল্ডার বৃহস্পতিবারের অতি জোয়ারের পানির চাপে চকরি নদীর এবার দক্ষিন মাথার পূর্বপার ওয়াপদার পাশ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে গেউয়াবুনিয়া, পারমধুখালী ও চকরি বকরি গ্রামের প্রায় ৭৫০ বিঘা জমির মাছ, ধানের পাতা, বসত বাড়ী, ইট সোলিং রাস্তা ও বেড়িবাঁধ।
তিনটি গ্রামের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা সুকৃতি মোহন সরকার জানিয়েছেন। তিনি বলেন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে বারবার বাঁধ মেরামত করে এলাকা রক্ষা করা সম্ভব নয়। এলাকাবাসী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বেডিবাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট / এমএম