আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। ঘন কুয়াশায় গত প্রায় এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকায় উত্তরাঞ্চল ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আজ বুধবার বান্দরবানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া সীতাকুণ্ডে নয় দশমিক পাঁচ, শ্রীমঙ্গলে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক আট, বরিশালে নয় দশমিক সাত ও চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।কুয়াশার কারণে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আকাশ ও নৌ পথে যাতায়াত বিঘ্ন হচ্ছে। সম্প্রতি কুয়াশার কারণে সড়ক পথেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে। ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘আমরা আশা করছি, দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে মেঘ তৈরি হবে এবং বৃষ্টি হবে, এতে কুয়াশা কেটে যাবে। ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বা শুক্রবার ভোররাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে।’
কবির বলেন, ‘আজ অনেক জায়গায় সূর্য উঠেছে। যদি পর্যাপ্ত রোদ থাকে, তাহলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।’
সূর্য উঁকি দিলেও রোদের দেখা মেলেনি। বান্দরবান সংবাদদাতা জানিয়েছে, বান্দরবানে মিষ্টি রোদ উঠেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজ রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে।’
পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কুয়াশা কাটতে কোথাও কোথাও দুপুর হয়ে যেতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ১৯ জানুয়ারিও বৃষ্টি হবে। পর্যাপ্ত মেঘ ভেসে এলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। এখানে দেখার বিষয় বৃষ্টি কখন শুরু হচ্ছে। বৃষ্টির সময় তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে, সূর্যের আলো পড়বে। তখন দিনের তাপমাত্রা বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।’
খুলনা গেজেট/এমএম