আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার(২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরী সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক একিউএম মাহবুব এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মোমবাতি জ্বেলে আলোর মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোর মিছিল বের করে। শিক্ষার্থীদের হাতে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি আর মুখে ছিল প্রতিবাদী শ্লোগান। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই গিয়ে শেষ হয়। এ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে (২৩ ফেব্রুয়ারী) গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। তখন ৭/৮ জন মিলে হ্যালিপাডের পাশেই নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের ভবনে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে।
রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ আসামি করে একটা মামলা দায়ের করেন।
এর প্রতিবাদে বহস্পতিবার সারাদিন ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকালে প্রশাসনের সাথে সমঝোতা বৈঠক হবার পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী সড়ক থেকে না সরলে বহিরাগতরা হামলা চালায়। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছাত্রী ঘর্ষণের ঘটনায় র্যাব ৬ জন ও গোপালগঞ্জ পুলিশ আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই