দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। একই সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দেশজুড়ে শীতের যে দাপট চলছে, মাসের বাকি দিনগুলোতেও প্রায় একই রকম আবহাওয়া থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকবে, ঠান্ডা লাগবে দিনে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল ভোর ৬টার আগের ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ দশমিক ৫, কিশোরগঞ্জের নিকলী, নওগাঁর বদলগাছী, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৩, বগুড়ায় ৯ দশমিক ৮, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ২ ও ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে। এই দুই জেলায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় তা প্রশমিত হলেও শীত থাকবে জানুয়ারিজুড়েই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে; কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত চলতে পারে কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এবারে শীত বেড়েছে জানুয়ারিতে এসে। গত ১১ জানুয়ারি দেশের উত্তরের কিছু কিছু জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম হাওয়ার দাপট। জানুয়ারির ২০ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার বাড়তে থাকে। তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রায় পুরো দেশ।
দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।