নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পাগলা দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তৃতীয় জানাযা শেষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের দাফন বাদ মাগরিব সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় ফ্রিজিং গাড়িতে ফারদিন নূর পরশের লাশ দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আনা হয়। এসময় তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা, চাচা আবু ইউসুফ, ছোট ভাই সালেহ নুর, তাদের বন্ধুরাসহ পরিবারের অনেকে সঙ্গে ছিলেন।
নিহত পরশের নিজ বাড়ি পাগলা নয়ামাটি এলাকায়। তাঁর দাফনের সময় স্থানীয় মুসল্লিরা এবং স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে’
এর আগে দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে ঢাকায় বুয়েট ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয় ফারদিনের লাশ। সেখানে তাঁর প্রথম জানাজা হয়। এতে বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে সেখানে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিকেল ৩টায় লাশ নিয়ে আসা হয় ডেমরা কোনাবাড়ির ভাড়াবাড়িতে। এসময় নিহতের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা ফারহানা ইয়াসমিন। বারবার মুর্ছা যেতে যেতে তিন বলতে থাকেন, তিলে তিলে মানুষ করে গড়ে তোলা স্বপ্ন হত্যার বিচার চাই আমি।
পরে সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। ছিলেন সহপাঠী ও বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থীও।
পরশের বাবা কাজি নূর উদ্দিন রানার বন্ধু সাবেক ব্যাংকার গোলাম সারোয়ার্দী বলেন, ‘ফতুল্লার দেলপাড়ায় ফারদিনকে দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড, আমরা এর বিচার চাই।’