যশোরের বড়বাজারের বুধবার চাল বিক্রি করবেন না ব্যবসায়ীরা। পৌরসভা হঠাৎ করেই চালের খাজনা ও টোল বাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের কথা জানান চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেলে শহরের হাটচান্নিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ বলেন, দুই মাস আগে বড়বাজারের ইজারাদার প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু, চালের খাজনাসহ টোল বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেন। বিষয়টি পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে অবহিত করা হয়। তিনি খাজনা ও টোল বৃদ্ধি করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এদিন হঠাৎ করেই ইজাদার ও পৌর কাউন্সিলররা খাজনা ও টোল বৃদ্ধির তালিকা নিয়ে হাজির হন।
তিনি বলেন, বড়বাজারে বস্তাপ্রতি চাল আমদানি ও রপ্তানির খাজনা ছয় টাকা। প্রতি বৈশাখের শুরুতে ইজারা ও টোল নির্ধারিত হয়। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ টোল-খাজনা বাড়াতে পারেন না। তার দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে খাজনা বাড়িয়েছে। করোনার এই দুঃসময়ে যা ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ্বাস, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল আলম, সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা, শহিদুল বিশ্বাস, গোপালচন্দ্র ঘোষ, ইসহক সরকার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বেআইনি এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার বড়বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা প্রতিকী ধর্মঘট পালন করবেন। অর্থাৎ এদিন বড়বাজারের কোনো ব্যবসায়ী চাল বিক্রি করবেন না। এতেও সুরাহা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সমিতির নেতারা তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবরে জমা দেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি