জোট করে বিজেপির সঙ্গে ভোট করলেও বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসবেন না জনতা দল (ইউ)-এর বর্ষীয়ান নেতা নীতিশ কুমার। আর তিনি তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়ায় ঘোর অস্তিত্বের মধ্যে বিজেপি। তারপরও বিজেপি নীতীশ কুমারকে এনডিএ জোটের সভাপতি হওয়ার অনুরোধ করলে সেটা ভেবে দেখবেন বলে বলেছেন নীতীশ।
নীতীশের এই নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসায় ঘোর অস্বস্তির মধ্যে জোট সঙ্গী বিজেপি। ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বর্ষীয়ান নেতা ও অভিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এই সিদ্ধান্ত পক্ষান্তরে তেজস্বী যাদবের রাজনৈতিক অবস্থানকে সুবিধা করে দেবে। নীতীশ কুমার মনে করছেন, তার অস্বস্তি কোনোদিনই রামবিলাস পালোয়ানের ছেলে ও লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চেরাগ পাশোয়ান নয়। বরং পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিজেপিই। কারণ ২০১০ সালে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তাকে নাকানি- চুবানি খেতে হয়েছিল। সে সময় কিন্তু নীতীশ কুমার বিজেপির থেকে সংখ্যায় বেশি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত লালুপ্রসাদের আরজেডি দলের সমর্থনে তার গদি বেঁচেছিল।
আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য যে, ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধান সভায় নীতীশের জনতা দল (ইউ)-এর আসন সংখ্যা ৪৬। জোটসঙ্গী বিজেপি ৭৪। আর এক জোটসঙ্গী রাম বিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি ১। এই আসনটির মালিক রামবিলাসের ছেলে চেরাগ পালোয়ান । অন্যান্য মিলে এনডিএ জোট ১২৫। আর কেবল এনডিএ জোট ১১৭।
কিন্তু বিহারে আরজেডি নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আসন সংখ্যা ১১০। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আরজেডি, যার আসন সংখ্যা ৭৫। তাই নীতীশের দলের একাংশ আরজেডি তেজস্বী যাদবকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছেন। আর এই দল ভাঙন রুখতে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসতে চাইছেন না পরোক্ষ দলের চাপেই। তাই বিহারের রাজনীতি এখন এসব নিয়ে সরগরম। সময় কিন্তু প্রতিটি মুহুর্তে অন্য কথা বলছে। তেজস্বী যাদবের রাজটিকা হয়তো তার কপালে সেঁটে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । তবে তা কি হতে দেবে বিজেপি? কি করেন মোদি-শাহ’রা, তার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এই অভিমত খোদ রাজনৈতিক মহলেরই।