দেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া-ব্যক্তিত্ব সাকিব আল হাসান রাজনীতিতে আসার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন অদূর ভবিষ্যতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন তিনি। তবে টাইগারদের পোস্টার বয়ের চাওয়া মন্ত্রিত্ব নয়, বরং দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবির সভাপতি হতে চান সাকিব।
দেশের প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সংসদ সদস্য হওয়ার পর কখনও একই সঙ্গে যদি সুযোগ আসে যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব, না হয় বিসিবি সভাপতি-কোনটা বেছে নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, বিসিবি সভাপতি।
ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণেই সাকিবের এই আগ্রহ জানিয়ে আরও বলেন, ক্রিকেটের প্রতি যেহেতু আলাদা ভালোবাসা আছে, ক্রিকেটের বাইরে কখনও চিন্তা করার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। যদি স্পোর্টসে থাকতে হয়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো একটা জায়গা। এখন পর্যন্ত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো ভূমিকা দেখিনি, যেটাতে আসলে আমূল কোনো কিছুতে পরিবর্তন হয়েছে।
সাকিব জানান, ক্রিকেটে যেমন অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। এটা যেহেতু স্বাধীন সংস্থা, যদি পরিবর্তন করতে হয় বা কিছু পরিবর্তন করার থাকে, এখানেই অনেক বেশি আছে। স্বাভাবিকভাবে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেক কিছুর সামঞ্জস্য হতে হয়। এগুলো আমার কাছে মনে হয় ঝামেলার।
সাকিবের জন্য অবশ্য আপাতত মন্ত্রী হওয়ার পথ সোজা। কারণ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবি সভাপতি হতে হলে প্রথমে হতে হবে ক্লাব প্রতিনিধি, এরপর কাউন্সিলর, এরপর নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হতে হয় বোর্ড ডিরেক্টর। সাকিব অবশ্য কঠিনকেই ভালোবেসে করছেন আলিঙ্গন। তিনি জানান, কোনো কিছুই সহজ নয়। কোনো কিছু পেতে হলে আপনাকে কষ্ট করতেই হবে। কষ্ট করে কিছু পাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ আছে।’
রাজনীতিতে অভিষেকটা হয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের। তাও সরাসরি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে। মাগুরা-২ আসন থেকে জয়ের ব্যাপারেও সাকিব বেশ আশাবাদী।
খুলনা গেজেট/ টিএ