আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনো ক্রিকেট বোর্ডের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না সে দেশের সরকার। আর সেটি হলে নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হয় ওই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে। বিসিবি থেকে নাজমুল হাসান পাপন, জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পদত্যাগের পর এখন উঠছে সেই প্রশ্ন। এই তিন বিসিবিকর্তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেনি তো সরকার?
কেননা তাদের জায়গায় এরই মধ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। দুজনই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হয়ে বিসিবি পরিচালক হয়েছেন। এর মধ্যে বিসিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তাদের বিসিবিতে ঢুকাতে গিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি তো এনএসসি। সেই প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন ব্যাখ্যা দিয়েছে এনএসসি। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এনএসসি।
এনএসসি জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রের ৯.৩.২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কাউন্সিলর ক্যাটাগরিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে এর আগে পাঁচজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়। তাদের মধ্যে জালাল ইউনুস ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট পদত্যাগ করলে সেই শূন্যপদে নাজমল আবেদীন ফাহিমকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
ফারুক ও ফাহিমকে বিসিবি পরিচালক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলেও জানান এনএসসি। অন্যদিকে গঠনতন্ত্রের ১৩.২ (খ) ৪নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালক ক্যাটাগরিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে পূর্বের মনোনয়ন পরিবর্তন করে ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে মনোনয়ন দেওয়ায় তা সব জায়গায় প্রশংসিত হচ্ছে। এই মনোনয়ন ফিলোসফি অব জুডিসপ্রুডেন্সের ভিত্তিতে প্রচলিত বিধিবিধানের সর্বোচ্চ সতর্ক প্রয়োগের মাধ্যমে করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে