নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা নাগাদ মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয়ের থেকে আমরা অভিযান পরিচালনার জন্য আজকে এখানে এসেছি। অভিযোগটির মূল বিষয় ছিল যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি। অবৈধ অর্থসহ নানাবিধ দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে মূলত এই এনফোর্সমেন্ট অভিযানটি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে আজকে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে ছিল থার্ড ডিভিশন কোয়ালিফায়িং এর বিষয়ে ২০২৩ সালের টিম সিলেকশন নিয়ে। বিগত বছরগুলোতে কিভাবে হয়েছে সেটা আমরা এখানে এসে দেখেছি। তাদের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে দুইটা অথবা তিনটা দল আবেদন করত। তা থেকেই তারা বাছাই করত দুইটা দল বা একটা দল। এবার ফি যখন এক লাখ টাকা করে দিল তখন ৬০ টা দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। এই জিনিসগুলো আমরা এখন যাচাই-বাছাই করব।’
দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, আরও একটা ব্যাপার ছিল যে টিকিট বিক্রির বিষয়টি। বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে দশম আসার পর্যন্ত জানেন যে…. বিসিবির অন্যান্য এর থেকে টিকিট সেলিং এর একটা ইনকাম আছে। সেখানে দেখা গেছে যে গত ৮ আসরে ১৫ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এবার যখন বিসিবি নিজেরা টিকিট বিক্রি করল এবার এগারোতম আসরে তখন দেখা গেল যে আয় ১৩ কোটি টাকা প্রায়।’
খুলনা গেজেট/জেএম