গোটা বিশ্বের সংবাদভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের তালিকায় আবারও শীর্ষ দশ-এ উঠে এলো যমুনা টেলিভিশন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষক সাইট ‘সোশ্যাল ব্লেড’-এর র্যাঙ্কিংয়ে এখন ছয় নম্বরে দেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল (https://www.youtube.com/jamunatvbd)।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে যমুনা টেলিভিশন। এই বিচরণ শুধু টেলিভশনের পর্দায় নয়, বিস্তৃত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। যেখানে চোখের সামনে থাকে কতজন দেখছেন কিংবা কতজন দর্শক চ্যানেলের সাথে যুক্ত আছেন। সেখানে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৭৩ লাখ সাবস্ক্রাইবারে এখন যমুনা পরিবার। শুধু সাবস্ক্রাইবার নয়, আপলোড হওয়া ৫০ হাজার ভিডিওর ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় ৩শ’ ৮৬ কোটি!
এই জনপ্রিয়তা আর ভালোবাসার প্রতিফলন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণ সাইট ‘সোশ্যাল ব্লেড’ এ। এর র্যাঙ্কিংয়ে আরও একবার শীর্ষ ১০-এ যমুনা টেলিভিশন। তালিকায় এক নম্বরে ভারতের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল ‘আজ তাক’, যমুনা টিভির অবস্থান ছয়ে।
এ বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক ফাহিম আহমেদ বলেন, এটি বিশাল আনন্দের আমাদের জন্য। বাংলাদেশের একমাত্র নিউজ চ্যানেল হিসেবে আমরা টপ টেনে আছি। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের দর্শকদের, যারা আমাদের প্রতিনিয়ত উৎসাহ জোগান, ভালোবাসেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা আমাদের। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বিজ্ঞাপনদাতাদেরও, যারা করোনাক্রান্তিতে টেলিভিশনের পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মেও আমাদের পাশে ছিলেন।
সোশ্যাল ব্লেডের তালিকায় সাবস্ক্রাইবারের পাশাপাশি চ্যানেলের কন্টেন্টের ভিউ, ফিডব্যাক ও সামগ্রিক প্রভাব বিবেচনা করা হয়। তাই তো বিশ্বের বুকে ৬ নম্বরে লাল সবুজের একটি চ্যানেলের এই অবস্থান আত্নবিশ্বাসী করছে যমুনা টিভিকে।
‘নিউজ অ্যান্ড পলিটিকস’ ক্যাটাগরিতে গতবার বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার শীর্ষ পাঁচে উঠে আসে যমুনা টেলিভিশন। এবার সেই তালিকায় যমুনা টেলিভিশনের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া এই তালিকায় ১৫ নম্বর অবস্থানে জি নিউজ, ১৮ নম্বরে এনডিটিভি, আল জাজিরা ৫৪ ও বিবিসি’র অবস্থান ৬৯-এ।
এ সাফল্যের পেছনের রহস্য জানালেন যমুনা নিউমিডিয়ার ইনচার্জ রুবেল মাহমুদ। তিনি বলেন, মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে আকৃষ্ট করার জন্য বিভ্রান্তিকরভাবে কন্টেন্ট উপস্থাপন না করে টেলিভিশনের মতো ডিজিটাল প্লাটফর্মেও আমরা নিউজরুম এথিকস ফলো করি। সেটিই মানুষের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি