মঙ্গলবারের পর বুধবারও ঊর্ধ্বে ছিল বিশ্বে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার রেখচিত্র। এই দিন বিশ্বে করোনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ১৪২ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৪৭ জন।
তার আগের দিন মঙ্গলবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১৮১ জন।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬১ হাজার ৭৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২৬৬ জন।
আগের দিন মঙ্গলবারের মতো বুধবারও করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। এই দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ জন এবং মারা গেছেন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৩৪৩ জন।
এই তালিকায় থাকা দ্বিতীয় দেশটির নাম ভারত। বুধবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৩১৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৯৭৮ জন।
ব্রাজিল ও ভারতের পর বুধবার করোনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায়। বুধবার আর্জেন্টিনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩১৯ জন এবং মারা গেছেন ৭০৫ জন।
মৃতের হিসেবে আর্জেন্টিনার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যায় দেশটির চেয়ে এগিয়ে আছে কলম্বিয়া। দেশটিতে বুধবার করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী ছিল ২৯ হাজার ৯৯৫ এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৪৫।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের আরও যেসব দেশে আক্রান্ত ও মৃতের উচ্চহার দেখা গেছে সেসব হলো- রাশিয়া (আক্রান্ত ১৭ হাজার ৫৯৪, মৃত ৫৪৮), দক্ষিণ আফ্রিকা (আক্রান্ত ১৭ হাজার ৪৯৩, মৃত ১৬৬), ইন্দোনেশিয়া (আক্রান্ত ১৫ হাজার ৩০৮, মৃত ৩০৩), যুক্তরাজ্য (আক্রান্ত ১৬ হাজার ১৩৫, মৃত ১৯), যুক্তরাষ্ট্র (আক্রান্ত ১২ হাজার ৮১৬, মৃত ৩১৯), ইরান (আক্রান্ত ১১ হাজার ২৯, মৃতে ১১২)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭৬ জন। এদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮১ হাজার ৪৯৭ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় বছরে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৮ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৬ হাজার ৭৭ জন।
অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ জন এবং মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন মোট ১৬ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে সাধারণভাবে এই ভাইরাসটি পরিচিতি পায় নতুন বা নভেল করোনাভাইরাস নামে। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছে উহানেই। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তখন জানানো হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা ডব্লিউএইচও।
খুলনা গেজেট/ টি আই