চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার মানুষ। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুতে ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার।
সোমবার (৫ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় এক হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৬ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৪৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৭২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২১ হাজার ২৯৩ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৮৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৮৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭২ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৭৫৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ২০৩ জন, রাশিয়ায় ৫৬ লাখ ১০ হাজার ৯৪১ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৭ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৬ জন, স্পেনে ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৮ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫১ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ১৬১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৭ হাজার ৯২৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ২২২ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৪৯ জন, তুরস্কে ৪৯ হাজার ৯২৪ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৯১১ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৫৮৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮০ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
খুলনা গেজেট/ টি আই