চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে সোয়া ২ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, জাপান ও ইতালি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৬৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪২০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে আড়াই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৯০৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১৪৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ৫২৭ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৯ জন এবং মারা গেছেন ১০২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৯ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪২২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪২৮ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৬ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮০ জন মারা গেছেন।
জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৫ হাজার ৪৬১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮০১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯১০ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।