চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ। মহামারি শুরুর পর দেড় বছরের মাথায় মৃতের সংখ্যা এই মাইলফলক ছাড়াল। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। তবে মৃত্যুতে ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখের ঘর।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৩০৯ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ১১৯ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২১ হাজার ৩৩৫ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭০৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৭ লাখ ৯২ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১০ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯৯ জন, রাশিয়ায় ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ৫৩৪ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৭ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৪ জন, স্পেনে ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৫ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ১৯৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ২৩১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৮০ জন, তুরস্কে ৪৯ হাজার ৯৫৯ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৯৩৪ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৫৯৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬২২ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
খুলনা গেজেট/ টি আই