করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্বে প্রাণহানি এখনো থামছেই না। ভাইরাসটি এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে সারাবিশ্বে। অদৃশ্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। সংক্রমিতের তালিকাটাও প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য ভাইরাসটিতে।
গত একদিনে সারাবিশ্বে সংক্রমিত মানুষের তালিকাতে নতুন করে যোগ হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৯৬ জনের নাম। মৃত্যুর সারিতেও যোগ হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৮ জনের নাম।
মহামারির শুরুর পর থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের তথ্য হালনাগাদ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, রবিবার সকাল নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪২ হাজার ৮৬৫ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ লাখ ২০ হাজার ৪৪৫ জন। করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮৬ জন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৬ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫২৮ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ২৭ হাজার ১৭০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৮ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৫ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৯ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে অদৃশ্য ভাইরাসটি। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার টিকা প্রদান শুরু করেছে। বাংলাদেশেও করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম