বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচিং লোড নীতিমালা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ‘৮ ঘণ্টা অফিস করার বাধ্যবাধকতা’ তাদের নীতিমালায় উল্লেখ নেই।
রোববার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতি দিয়ে ইউজিসি জানিয়েছে, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা-২০২২’ নিয়ে সম্প্রতি দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুলভাবে তথ্য প্রচারিত হয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা অফিস করতে হবে’ এবং ‘শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার আগে অব্যাহতিপত্র জমা দিতে হবে’ শীর্ষক যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা খসড়া নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত নেই।
সংস্থাটি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা এ নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট আছেন। খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা নির্ধারণ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে ইউজিসি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা, ২০২২’। এতে বলা হয়েছে, দেশের স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা করে কাজ করবেন। এর মধ্যে ১৩ ঘণ্টা ব্যয় করবেন সরাসরি ক্লাস নেওয়ার কাজে। বাকি সময় পাঠদান সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাজ, শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং, গবেষণা ও দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তারা মোট ২২ ধরনের কাজে অংশ নেবেন।
গত সোমবার এ খসড়াটির ওপর ইউজিসিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কিছু মতামতসহ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এটি জারি করা হতে পারে। খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ