আয়ারল্যান্ডের কাছে হারে সেমিফাইনালে ওঠার পথ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ডের। তবে সব জল্পনা কল্পনাকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছিল ইংলিশরা। চলতি আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের বড় দাবিদার হিসেবে আগেই প্রমাণ দিয়েছিল তারা। এবার ফাইনালে বাবর আজমের দলকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো স্যাম কারান-বেন স্টোকসরা।
রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করেছিল পাকিস্তান। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয়ে শিরোপা জিতে নিলো জস বাটলারের দল।
চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাটলার বলেছেন, ‘এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পেরে আমরা প্রত্যেকে বেশ গর্বিত। গত কয়েক বছর ধরে আমরা যে দীর্ঘ যাত্রা এবং কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম তার ফল পেয়েছি। এটি একটি চমত্কার টুর্নামেন্ট ছিল। এখানে আসার আগে আমরা পাকিস্তানে গিয়েছিলাম, যেটি আমাদের জন্য বেশ মূল্যবান সময় ছিল বিশ্বকাপের আগে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পরে আমাদের প্রত্যেক ম্যাচে জয় প্রয়োজন ছিল। সেখানে আমরা যে চরিত্রটি দেখিয়েছি তা আশ্চর্যজনক। এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাথে কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান কোচিং স্টাফ পেয়েছি, যারা সত্যিই খুব ভাল নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তারা আমাদের দুর্দান্ত স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
ফাইনালে আদিল রশিদের বোলিংকে আলাদাভাবে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইংলিশ কাপ্তান বাটলার। তিনি বলেন, ‘বাবরের উইকেট নেওয়া আদিলের ওভারটি দুর্দান্ত ছিল। গত তিন ম্যাচে তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।’
ম্যাচে রান তাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই রান রেট নিয়ন্ত্রণে রেখে ম্যাচে আগানোর প্লান করেছিলাম। এবং স্টোকস বরাবরেই মতোই শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে জয় এনে দিয়েছেন। সে এবং মইন আলী জাস্ট পাকিস্তানের কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে।’