খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আমাদের প্রত্যাশা

ড. খ. ম. রেজাউল করিম

সারা বিশ্বে সবার জন্য শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের কারিগর হিসেবে নিয়োজিত শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে সারা বিশ্বে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। সেই হিসেবে এ বছর দিবসটির ৩০ বছর পূর্ণ হলো। এ দিবসের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের নৈতিক সমর্থন যোগানো এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা ও প্রয়োজনের বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে শিক্ষকদের মাধ্যমে কত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে তা মেটানো সম্ভব সেই নিশ্চয়তা বিধানে ভূমিকা রাখা। সারা পৃথিবীতে শিক্ষক সমাজ শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবদান রেখে চলেছে, ইউনেস্কো-এর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস সেই সচেতনতা, বোধগম্যতা ও উপলব্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশ্বিক উদযাপন।

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবী সংগঠন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল অনেক আগে থেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করে যে একদিন বিশ্ব শিক্ষক দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের পাশাপাশি বিশ্বের সকল দেশে একযোগে উদযাপিত হবে। তারা আরো বিশ্বাস করে যে শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্নটি বিবেচনায় নিয়ে ১৯৬৬ সালে আইএলও ও ইউনেস্কোর মধ্যে যে স্মারক স্বাক্ষরিত হয় প্রতিটি দেশ তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে। ১৯৬৬ সালের অক্টোবর মাসে প্যারিসে শিক্ষকদের মর্যাদা সংক্রান্ত আন্ত:সরকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে আইএলও ও ইউনেস্কো শিক্ষকদের অধিকার. দায়িত্ব এবং মর্যাদা বিষয়ক একটি যৌথ সুপারিশমালা প্রণয়ন করে, যা শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থানে নেয়াসহ শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষাসংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, দেন-দরবারের কৌশল সংক্রান্ত দক্ষতা, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিক্ষণের পরিবেশ সৃষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মাইলফলক হিসেবে পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করে।

মূলত: ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনে সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক ফ্রেডারিক এম মেয়র এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল এর অনুরোধে ৫ অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে আজকের দিনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয়। সেখানে একটি বিষয়ে সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেন যে বর্তমান বিশ্বে শিক্ষকরা একটি ক্রমবর্ধমান জটিল, বহুসাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিনির্ভর দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে মেধা ও শ্রম দিয়ে চলেছেন। তাদের সেই অবদানের বিষয়টি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অন্যান্য পেশাজীবীরা যেন সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেন তার ওপর গুরুত্বারোপের জন্য ইউনেস্কো ও এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল দিনটি উদযাপনের উদ্যোগ নেয়। প্রতি বছর শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের অবদান তুলে ধরার জন্য এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানও চালিয়ে থাকে।

আজকের দিনের শিশু পরিপূর্ণ বয়সে কী পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে তার স্বরূপ এখনই ঠিকঠাক নিরূপণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীর চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আজকের শিক্ষককে দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার সাথে একাধিক বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে। প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-

The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage. 

বিশ্বব্যাপী বর্তমান শিক্ষা ব্যববস্থায় যে শিক্ষক সংকট বিদ্যমান সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিপাদ্যটি যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এদেশে যেমন মানসম্মত শিক্ষকের সংকট রয়েছে, সাথে সাথে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকেরও সংকট রয়েছে।

শিক্ষক মানুষ গড়ার হাতিয়ার। যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল স্তম্ভ হলেন শিক্ষক। একজন শিক্ষক হলেন আদর্শ মানুষ, অভিভাবক, গাইড, পরামর্শদাতা, মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী। শিক্ষার্থীর ব্যক্তিমানস গড়ে ওঠার সময়ে শিক্ষককে মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, পেশাগত নিষ্টা ও নৈপুণ্য, মৌলিক ও অর্জিত জ্ঞান-অভিজ্ঞতার পূর্ণ প্রয়োগ করতে হয় যাতে শিক্ষার্থীরা অনুকূল পরিবেশে তাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হয়। মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীর সহজাত গুণাবলি এবং সম্ভাব্য শক্তির পরিমাপ করে শিক্ষার্থীকে সংবেদনশীল মন দিয়ে সাহায্য করেন। দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের কথায়- শিক্ষক সমাজ হচ্ছেন প্রকৃতই সমাজ ও সভ্যতার বিবেক। এ জন্যে শিক্ষকদের বলা হয় সমাজ বিনির্মাণের স্থপতি। ইউনেস্কো বলছে বর্তমান বিশ্বে এক ধরনের শিক্ষাসংকট চলছে। ২৫০ মিলিয়ন শিশু শিক্ষার প্রাথমিক দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক দেশে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার মান পড়ে যাচ্ছে। বিশ্বে ১.৪ মিলিয়ন শ্রেণিশিক্ষক ঘাটতি রয়েছে। তার সাথে রয়েছে তাদের মানসম্মত প্রশিক্ষণের অভাব। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণের কাজটি অতি দ্রুত সময়ে শেষ করার ব্যাপারে ইউনেস্কো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষাউন্নয়ন কর্মসূচি, যা প্রতিটি দেশকে বাস্তবায়নের জন্য ইউনেস্কো সুপারিশ ও সমর্থন যোগাবে, তা হলো-

  • প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার উন্নত পরিবেশ
  • শিক্ষকদের জন্য উচ্চমানের প্রশিক্ষণ
  • শিক্ষক নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থাপনা
  • পেশা, পেশাগত দক্ষতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির সুযোগ, উন্নত বেতন কাঠামোসহ চাকরির সুবিধাজনক পরিবেশ

তাদের প্রত্যাশা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দেশের সরকার সম্মিলিতভাবে কাজ করবে শিক্ষক ও শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ করে সেইসব দেশে যেখানে ব্যাপক সংখ্যক শিশুরা শিক্ষার বাইরে অবস্থান করে। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার মান ও মর্যাদার দিক দিয়ে শিক্ষকদের অবস্থান সম্পর্কে শিক্ষা পেশার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ যথেষ্ট অবগত আছেন। একটি দেশ স্বাধীনতা লাভের পাঁচ দশক পর একটি জাতীয় শিক্ষানীতি পেয়েছে। এই দীর্ঘসময় এদেশের সামগ্রিক শিক্ষা কোনো সুনির্দিষ্ট নীতির আলোকে পরিচালিত হয়নি। দীর্ঘদিন কোনো শিক্ষানীতি না থাকার জন্য নিশ্চয় শিক্ষক সমাজ দায়ী ছিল না। বাস্তবিক ভিত্তি থেকে শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়, কিন্তু তাকে দৃঢ় ও সোজা রাখতে এবং এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত মানুষদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানজনক জীবন যাপনের জন্য যা প্রয়োজন তা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শিক্ষকরা শুধু বেতন- ভাতা ও সুযোগ- সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার তাই নয়, মর্যাদার প্রশ্নেও তারা অন্যান্য পেশাজীবী গোষ্ঠীর তাচ্ছিল্য ও ঔদাসীন্যের শিকার। দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষকদের বঞ্চিত রাখার যে সংস্কৃতি এ দেশে তৈরি হয়েছে একটি মহল তা বহাল রাখতে যেন মরিয়া, আর সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের অবহেলা রয়েছে। এই সরকারের পূর্ববর্তী সময়কালে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু সেই শাসনকাল পার হয়ে গেছে, তারাই আছেন রাষ্ট্রক্ষমতায় কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই, যদিও ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অনেক বিভাগের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯ (১) ধারায় বলা আছে: ‘সমস্ত নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।’ ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ আছে: ‘মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ- সুবিধা দান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে যে শিক্ষক হিসেবে নয়, নাগরিক হিসেবে তাদের মর্যাদা কোথায়? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চ থেকে নিম্ন পদমর্যাদার নবীন কর্মচারী অল্পদিনেই ন্যূনতম সুদে গৃহসম্পদের মালিক বনে যান আর একজন প্রবীণ শিক্ষক সেই বাড়িতে ভাড়া থাকতে বাধ্য হন। শিক্ষকদের একথাও শুনতে হয়, ‘আপনারা এই পেশায় এসেছেন মর্যাদার জন্য, এতো অর্থভাবনা কেন?’ সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলতে হয়, সম্পদ ও মর্যাদা পরস্পর সাংঘর্ষিক নয়। আর যদি মর্যাদার কথাই বলা হয়, তাহলে তাও এই পেশার মানুষদের তা প্রদান করা হয়নি। রাষ্ট্রের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’-এ সামরিক বাহিনীর একজন মেজরের অবস্থান কোথায় তা উল্লেখ থাকলেও একজন অধ্যাপকের মর্যাদা কী তার উল্লেখ নেই। মর্যাদা প্রদানের এই একটি দৃষ্টান্তই বুঝিয়ে দেয় শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের মনঃস্তত্ত্ব। অথচ বীর মহামতি আলেকজান্ডার তাঁর শিক্ষকের প্রতি এই বলে সম্মান জানিয়েছিলেন,

‘I am indebted to my father for living, but to my teacher for living well’.

খুব দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে হয়, একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ। আর তা সৃষ্টি করে থাকেন শিক্ষকরা। এদেশের শিক্ষকরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে খুবই ন্যূনতম পেয়ে ঘাড় গুঁজে এই সম্পদ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। চাকরি মানে শুধু বেতন- ভাতা নয়। সাথে অন্যান্য সুযোগ- সুবিধাও থাকতে হয়, যা চাকরির অংশ। সেখানে শিক্ষকরা চরম বঞ্চনার শিকার। এমনকি একজন শিক্ষক অপমৃত্যুর শিকার হলে তার বিচার চেয়ে রাজপথে নামতে হয়, তারপরও সঠিক বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হয় না। তদন্ত ঝিমিয়ে পড়তে পড়তে একসময় তা চাপা পড়ে যায়। বিচারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও যেন এখানে পরিণতি লাভ করে না। এদেশের শিক্ষক সমাজ বঞ্চিত এক শ্রেণি যাদের মর্যাদাবান বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরছে। তারা সব রকমের বস্তুতান্ত্রিক বৈষম্যের সুষ্ঠু সমাধান যেমন প্রত্যাশা করেন তেমনি প্রাপ্য মর্যাদাও দাবি করেন, কারণ অন্যদের বুঝতে হবে যে কাউকে মর্যাদা দিলে অন্যের কম পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সব সম্মান আমার একার প্রাপ্য-এমন ভাবনা কোনো রাষ্ট্রের জন্য সুখকর নয়।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস একটি দিবস শুধু নয়। সারাবিশ্বের শিক্ষক সমাজ একটি দিনে তাদের অবদান সম্পর্কে অন্যের মূল্যায়ন ও অভিব্যক্তি জানার পাশাপাশি নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবেন এবং তা পালন করতে নতুন করে সংকল্পবদ্ধ হবেন। শিক্ষক দিবস শুধু শিক্ষকদের দাবি আদায়ের জন্য নয়, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকাই যে সবচেয়ে বেশি সে কথা মনে করে দেয়। শুধু শিক্ষকগণের নয়, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রের সব ধরনের সমস্যা ও অসামঞ্জস্যতা দূর করে একটা পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনও বাধাগ্রস্থ হবে। এ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষক সমাজ তাদের অধিকার সুরক্ষা ও দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ঘোষণা করে। সেই সাথে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক সম্মানিত ও স্বীকৃতি লাভ করবেন এ প্রত্যাশাটুকু করতেই পারেন। ইউনেস্কোর মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের পাশে থেকে সমর্থন জোগালে তারা লক্ষ্যে পৌঁছাবেন বলে বিশ্বাস করতে সাহস জাগে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি মাইকেল মধুসুদন কলেজ, যশোর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!