বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর লেঃ কমান্ডার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, আমাদেরকে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আবেগ বুঝতে হবে। তারা তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সচেতন। এদেশের শিক্ষার্থীরা একটা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। এখন সকলে মিলে দেশটাকে সাজাতে হবে।কেউ কোথাও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে সেটা কঠোর হস্তে দমন হবে। বিশৃঙ্খলাকারীরা কোন দলের হতে পারে না। তারা দেশের শত্রু, তারা জনগণের শত্রু।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় কয়রা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জরুরী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা রাজনৈতিক নেতাদের উদ্যেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের ডিম পাড়া হাঁস ভাববেন না। এক মাসের অধিক সময় ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে দেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। দলের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না। আওয়ামী লীগের করুণ পরিণতি দেখে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানান তারা।
এসময় ছাত্ররা পুলিশের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে গেছেন। বুকে গুলি করেছেন।আমরা এসব ভুলে গিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই।বাংলাদেশে এরকম চিত্র আর দেখতে চাই না।এখন সবাই মিলে দেশকে গড়তে হবে।দেশ গঠনে মাঠে এখন আপনাদের খুবই প্রয়োজন। আপনারা আর কারোর পা চাটা বাহিনীতে পরিণত হবেন না। ঘুষ না দিলে পুলিশ কাজ করে না এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিএম তারিক-উজ-জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আয়ুব আলী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান আশিক, শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী, মোশাররফ হোসেন, দেব্রত মন্ডল, রোকেয়া সুলতানা, ইমরান হোসেন, সোহেল রানা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি