বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নিপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় করেন বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ।শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আংড়া এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আছাদুল ইসরাম আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নিপতি আজিজুল হক নিহত হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নিপতি।
পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলে বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহদাত মুন্সির বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। তখন কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নিপতি আজিজুল হক নিহত হয়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সাথে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের উপর হামলা করে। ওদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আাদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এএজে